Immanuel Kant Philosopher life story presentation

mdmahabuburr049 4 views 11 slides Sep 06, 2025
Slide 1
Slide 1 of 11
Slide 1
1
Slide 2
2
Slide 3
3
Slide 4
4
Slide 5
5
Slide 6
6
Slide 7
7
Slide 8
8
Slide 9
9
Slide 10
10
Slide 11
11

About This Presentation

This presention about Immanuel Kant
Philosopher
life story

Born: April 22, 1724, Königsberg (now Kaliningrad, Russia)

Died: February 12, 1804

Nationality: Prussian

Key Ideas:

Epistemology: We can only know things as they appear (phenomena), not as they are in themselves (noumena).

Ethics: Int...


Slide Content

প্রেজেন্টেশন বিষয় : ইমানুয়েল কান্ট জেবা তাসনিয়া রোল: ৩২

পরিচিতি নাম : ইমানুয়েল কান্ট (Immanuel Kant) জন্ম : ২২ এপ্রিল , ১৭২৪ , কোনিগসবার্গ , প্রুশিয়া ( বর্তমানে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ ) মৃত্যু : ১২ ফেব্রুয়ারি , ১৮০৪ পেশা : দার্শনিক , প্রফেসর মূল দর্শন : সমালোচনামূলক ভাববাদ (Critical Philosophy) আধুনিক দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তার তত্ত্বগুলোর মধ্যে যুক্তি , নৈতিকতা এবং জ্ঞানতত্ত্বের উপর গভীর প্রভাব রয়েছে।

জীবনী শৈশব ও শিক্ষা : মধ্যবিত্ত লুথারান পরিবারে জন্ম। কোনিগসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু। গণিত , পদার্থবিদ্যা এবং দার্শনিক চিন্তাধারায় আগ্রহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু। প্রধান কাজ: Critique of Pure Reason (1781): জ্ঞানের সীমা এবং ক্ষমতা নিয়ে আলোচনার ভিত্তি। Critique of Practical Reason (1788): নৈতিকতার উপর ফোকাস। Critique of Judgment (1790): নান্দনিকতা ও উদ্দেশ্যমূলক চিন্তার আলোচনা।

ব্যক্তিগত জীবন: সারা জীবন কোনিগসবার্গেই কাটান। অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন। বৈবাহিক সম্পর্কে প্রবেশ করেননি।

রাষ্ট্র সম্পর্কিত চিন্তা স্বাধীনতা ও নৈতিকতা: কান্টের মতে, স্বাধীনতা নৈতিকতার জন্য অপরিহার্য। মানুষ স্বাধীন সত্তা, এবং তার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই নৈতিক জীবন গড়ে ওঠে। "স্বাধীনতা মানে মানুষ নিজের কর্মের জন্য নিজেই দায়ী।“ সামাজিক চুক্তি তত্ত্ব ( Social Contract Theory): রাষ্ট্রের বৈধতা নাগরিকদের সম্মতির উপর নির্ভরশীল। জন লক এবং জঁ জাক রুশোর তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তার নিজস্ব ধারণা তৈরি। রাষ্ট্র নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত।

চিরস্থায়ী শান্তি ( Perpetual Peace): যুদ্ধ এড়ানোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক আইন এবং বিশ্ব সরকার গঠনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা। "চিরস্থায়ী শান্তি" তার রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার: জনগণের মতামত এবং অংশগ্রহণের উপর ভিত্তি করে শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠা উচিত। প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অবদান আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণা প্রসারিত: নৈতিক নীতিমালা ও আইনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব। নৈতিকতা এবং রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। স্বাধীনতার গুরুত্ব: ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার জন্য রাষ্ট্রের ভূমিকা। "স্বাধীনতা মানবাধিকারের মূল ভিত্তি।"

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতার ওপর জোর। আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। মানবাধিকার: ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে মানবাধিকারের গুরুত্ব। "মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।"

সমালোচনা বাস্তবতার সাথে দূরত্ব: অনেক ক্ষেত্রেই তার তত্ত্বগুলো বাস্তবতার সাথে খাপ খায় না। বিশেষ করে বিশ্ব সরকার ধারণা বাস্তবে প্রয়োগ কঠিন। স্বাধীনতার ধারণার সীমাবদ্ধতা: রাষ্ট্র ও ব্যক্তিস্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় ব্যর্থতা। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে সীমিত করে ফেলতে হয়।

চিরস্থায়ী শান্তি তত্ত্বের সমালোচনা: এটি আদর্শবাদী এবং বাস্তবিক নয় বলে সমালোচিত। যুদ্ধ এড়ানো সব সময় রাষ্ট্রের হাতে থাকে না। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা: কান্টের সমালোচকরা বলেছিলেন, তার নৈতিকতা এবং জ্ঞানতত্ত্ব সবক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগযোগ্য নয়।

উপসংহার ইমানুয়েল কান্ট আধুনিক দর্শনের ভিত্তি স্থাপনকারী। তার রাষ্ট্র সম্পর্কিত চিন্তা মানবাধিকার , নৈতিকতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তার তত্ত্বগুলো এখনও প্রাসঙ্গিক এবং বিভিন্ন গবেষণার বিষয়। তার ধারণাগুলো তত্ত্বগত হলেও , ভবিষ্যতের রাষ্ট্র গঠনে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।