আয়োজনে : বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ -৩ য় পর্যায় প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ , স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের এক্সিট ও স্থাীয়ত্বশীলকরণ পরিকল্পনা : প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের ফোকাল পার্সনদের অবহিতকরন ও রোডম্যাপ প্রনয়ণ কর্মশালা তারিখ : ৩০ আগষ্ঠ ২০২৫
গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প প্রথমত : পাইলটিং হয় ২০০৯-২০১৫ সালে যা বাস্তবায়িত হয়েছিল দেশের ১৪টি জেলা , ৫৭টি উপজেলা ও ৩৫১টি ইউনিয়নে । পাইলটিং প্রকল্পের সফলতার ধারাবাহিকতায় গ্রাম আদালত সক্রিযকরণ - ২য় পর্যায় (২০১৬-জুন ২০২২ সালে ) দেশের মোট ২৭ জেলা , ১২৮টি উপজেলা ও ১,০৮০টি ইউনিয়নে সম্প্রসারিত হয় । সর্বশেষ , পাইলটিং পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ‘’ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পটির ৩য় পর্যায় ( জুলাই ২০২২-জুন ২০২৭) সারাদেশব্যাপী সম্প্রসারিত হয় যা দেশের ৮টি বিভাগ , ৬১টি জেলা ( পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত ) , ৪৬৮টি উপজেলা , ৪,৪৫৩টি ইউনিয়ন ( সক্রিয়করণ ৩,০৪১টি এবং ১ম ও ২য় পর্যায়ের ১,৪১২টি) বাস্তবিায়ত হচ্ছে । বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প
মোট বাজেট : ৫০.০১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ( বাংলাদেশ সরকার : ১৮.৬৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি : ৩১.৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রকল্পভূক্ত এলাকা : ৮টি বিভাগ , ৬১টি জেলা ( পার্বত্য চট্রগ্রাম ব্যতীত ) , ৪৬৮টি উপজেলা , ৪,৪৫৩টি ইউনিয়ন ( সক্রিয়করণ ৩,০৪১টি এবং রক্ষণাবেক্ষণ : ১,৪১২টি (১ম ও ২য় পর্যায়ের )) বাস্তবায়নে : স্থানীয় সরকার বিভাগ , স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সহযোগিতায় : বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকল্পের সময়কাল : জুলাই , ২০২২ থেকে জুন , ২০২৭ বাংলাদেশ বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ - ৩য় পর্যায় প্রকল্প : এক নজরে
সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য -০১ সুসংগঠিত গ্রাম আদালত ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের বিচারিক চাহিদা পূরণ এবং যথাযথ আইনি সেবা প্রদানে স্থানীয় বিচারিক কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা । সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য-০২ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট-খাটো বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রামীণ জনগণের বিশেষ করে নারী , দরিদ্র এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন করা । প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষের বিশেষ করে নারী , সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা । অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ( এসডিজি )-১৬.৩ ( ন্যায় বিচার , আইনের শাসন এবং সকলের জন্য ন্যায় বিচারের সুযোগ নিশ্চিত করা ) এবং এসডিজি-৫: জেন্ডার প্রক ল্পের উদ্দেশ্যসমূহ
১. নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ নিশ্চিতকরণে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারীদের সক্ষমতার উন্নতিসাধন করা । 2. গ্রাম আদালতের আইনি ও নীতি কাঠামো পর্যালোচনা ও তার উন্নতিসাধন ( সংশোধন ) করা । 3. প্রকল্পের সমাপ্তি অন্তে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনায় ও তদারকিতে বাংলাদেশে গ্রাম আদালতের দায়িত্ব পালনকারীদের সক্ষমতা ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করা । 4. গ্রামীণ জনগণের বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় , নারী , দরিদ্র এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা । 5. গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের উপর প্রামাণিক তথ্যাদি এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান বৃদ্ধি করা । প্রক ল্পের মূল কার্যক্রমসমূহ
জাতীয় পর্যায় স্থানীয় পর্যায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পিএসসি এবং পিআইসি সদস্য প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ব্যবস্থানা ইউনিট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আইসিটি বিভাগ আইন ও বিচার বিভাগ জুডিশিয়ারী ( এন.এল.এ এস.ও ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইন , বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেলা পর্যায় : জেলা প্রশাসন ( ডিসি , ডিডিএলজি ) ডি.আর.টি ভিসিএমসি ( জেলা পর্যায় ) জুডিশিয়ারী ( সি.জি.এম , ডি.এল.এ.ও ) সরকারী বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান মিডিয়া এনজিও উপজেলা পর্যায় : উপজেলা প্রশাসন ( ইউএনও ) ইউআরটি ভিসিএমসি ( উপজেলা পর্যায় ) সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠান ( এসি ল্যান্ড , ওসি-থানা , উপজেলা পর্যায়ের নারী , সমাজসেবা ও যুব ) মিডিয়া এনজিও ইউনিয়ন পর্যায় : ইউপি চেয়ারম্যান , মেম্বার ( নারী মেম্বারসহ ) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ( এএসিও ) গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রক ল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডার : জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়
১২৫,৯৮৬ গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত মামলা ১১৫,৬৪৩ (৯২%) নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ৮৭,২৪৮ (৬৯%) জেলা আদালত থেকে প্রাপ্ত মামলা ১৩,৩২৬ (১১%) মানুষ গ্রাম আদালতের সেবা থেকে উপকৃত হ য়ে ছে ১৭৪, ৪৯৬ ন্যা য় বিচারে প্রবেশাধিকার প্রকল্পের অর্জনসমূহ-৩য় পর্যায় তথ্যসূত্র : পিএমআইএস ফেব্রুয়ারী ২০২৪-জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত
গ্রাম আদালতের দক্ষতা ও কার্যকরিতা গড়ে ১৮ দিনে গ্রাম আদালতে একটি বিরোধ নিষ্পত্তি হয় গ্রাম আদালতের সুবিধাভোগীরা গ ড়ে কোর্ট ফি, পরিবহন এবং খাবার বাবদ ৩২৮ টাকা (২.৭ মার্কিন ডলার) খরচ করেছেন ৮৭% সুবিদাভোগী গ্রাম আদালতের সেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রকল্পের অর্জনসমূহ : ….. চলমান ..
কমিউনিটিতে প্রভাব সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্যানেল সদস্য হিসেবে নারীর অংশগ্রহণ ১৪.৬% ( ডিসেম্বর ২০২৪) উন্নীত , যা ডিসেম্বর ২০০৩ সালে ছিল ৯.৬৮%। ২৭% ( মোট আবেদনকারী ) নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়েছেন ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪৭.১৬ কোটি টাকা ( ১২ মিলি য়ন মার্কিন ডলার) গ্রাম আদাল তের মাধ্যমে আদায় প্রকল্পের অর্জনসমূহ : ….. চলমান ..
আইন সংশোধনের পর : ১৫% মামলা রিপোর্ট করা হ য়ে ছে আর্থিক এখতি য়া র ৭৫,০০০ টাকা থেকে ৩০০,০০০ টাকা য় উত্তীর্ন হওয়ায় ; ২.৫% মামলা নারীর ভরনপোষন সংক্রান্ত। ক. ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন : আর্থিক এখতিয়ার ৬৩০ মার্কিন ডলার (৭৫,০০০ টাকা) থেকে ২,৫২১ মার্কিন ডলার (৩০০,০০০ টাকা) উন্নীত করা গ্রাম আদালতের তফসিলে নারীর ভরনপোষন আদায়ের বিষ য়টি যুক্ত করা । খ. স্থানী য় সরকার (ইউনি য় ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ সংশোধন করা : ইউপি চে য়ার ম্যানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দা য়ি ত্ব হিসেবে গ্রাম আদালত পরিচালনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে , যা গ্রাম আদালত পরিচালনা য় ইউপি চে য়ারম্যানদের জবাবদীহিতা বৃদ্ধি করছে । গ. গ্রাম আদালত বিধি, ২০১৬ পর্যালোচনা : গ্রাম আদালত বিধি করার জন্য পর্যালোচনা প্রক্রি য়াধীন । ঘ. এনআইএলজি কর্তৃক গ্রাম আদালত প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল অনুমোদন । নীতি সংস্কার ও এর প্রভাব প্রকল্পের অর্জনসমূহ ….. চলমান ..
৬১টি জেলা রিসোর্স টিমকে গ্রাম আদালতের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করা হয়েছে । ৩২৭টি উপজেলা রিসোর্স টিমকে গ্রাম আদালত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে । জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের (ডিএলএও) আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাম আদালত প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণের জন্য অনুমোদ ন। সকল ইউপিতে ভিসি ফর্ম এবং ফর্ম াট সরবরাহ এবং গ্রাম আদালতের পদ্ধতি অনুসরণ করে গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য সেবা প্রদানকারীদের নলেজ শেয়ার করা । প্রকল্প এলাকার ৯৭% ইউপি যেখানে সপ্তাহে অন্তত একবার নি য় মিত নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাম আদালত অনুষ্ঠিত হ চ্ছে । ১০,৫৮,০০০ গ্রামীণ মানুষের কাছে আউটরিচ কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌঁছানো। কমিউনিকেশন এবং জেন্ডার কৌশল তৈরি এবং কার্যকরীভাবে অনুশীলন করা হ চ্ছে । . সক্ষমতা বৃদ্ধি, সচেতনতা এবং পর্যবেক্ষণ ৬১টি জেলা এবং ৪৬ ৯ টি উপজেলা ভিসিএমসি গঠন করা হয়েছে । প্রকল্প এলাকার ৯০% ইউপি, ইউএনও’র কাছে নিয়মিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন জমা দে ন । ৮টি বিভাগীয় কর্মশালার মাধ্যমে ( স্থানীয় প্রশাসন-বিভাগ , জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারসম্যান / প্যানেল চেয়ারম্যানদের অংশগ্রহনে ) গ্রমা আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করনীয় নির্ধারন করা হয়েছে । অনলাইন-ভিত্তিক ভিসিএমআইএস বাংলাদেশের ৩ , ০৪১টি ইউপিতে প্রতি স্থাপনের প্রস্তু তি চলমান । পিএমআইএস চালু করা এবং ফলাফলের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ চলছে। জিপিএস ভিত্তিক ই-মনিটরিং সিস্টেম চালু এবং কার্যকর করা । প্রকল্পের অর্জনসমূহ ….. চলমান ..
বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারিত্ব (Government Ownership) গ্রাম আদালত আইন ২০১৩ সালে এবং পুনরায় ২০২৪ সালে সংশোধন করা হ য়েছে । ২০১৬’তে গ্রাম আদালত বিধিমালা প্রনয়ন করা হ য় । মন্ত্রণাল য় কর্তৃক প্রকল্পের এক্সিট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি পরিকল্পনা টি পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পারিশসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হ য়েছে । প্রকল্পের সহায়তা বিলম্বিত হওয়ায় স্থানী য় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রাম পুলিশ (ভিপি) এবং AACO- দের অবহিতকরন । রাজনৈতিক পট পরিবর্তেন ফলশ্রুতিতে যেসকল ইউপিতে চেয়ারম্যান অনুপস্থিতি থাকায় প্যানেল চে য়ারম্যান নিয়োগের মাধ্যমে গ্রাম আদালত পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনা প্রেরণ । স্থানী য় প্রশাসন কর্তৃক আউটরীচ কার্যক্রমের আওতায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে তথ্য প্রচার করার জন্য স্থানী য় এনজিও এবং মিডি য়া কে অনুরোধ করেছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী TAPP অনুমোদন না পাওয়া : নতুন অনুমোদন নির্দেশিকা প্রবর্তনের কারণে টিএপিপি অনুমোদনে অপ্রত্যাশিত বিলম্ব ঘটেছে। এই বিলম্বের ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের বাস্তবায়ন প্রভাবিত হয়েছে। জিওবি তহবিলের অপ্রাপ্যতা এবং বিলম্বে বিতরণ : ২০২৩ সালের জুন মাসে টিএপিপি অনুমোদিত হয়েছিল । ফলে ২০২৩ সালের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রকল্পটি বাদ পড়েছিল ; এজন্য জিওবি অর্থায়নে পরিচালিত কার্যক্রমগুলোর ( প্রশিক্ষণ প্রদান , ভিসি ফর্ম এবং ফরমেট বিতরণ ইত্যাদি ) সময়মত বাস্তবায়ন অগ্রসর হয়নি এবং পরবর্তীতে বিলম্বে তহবিল বিতরণের কারণে বি ঘ্নি ত হয়েছে (২০২৪-২০২৫)। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট : ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয় , যার মধ্যে কয়েকটি এলাকায় ডিউটি স্টেশনে ইউপি চেয়ার ম্যানের অনুপস্থিতির কারণে গ্রাম আদালতের কার্যকারিতাও ব্যাহত AACO নিয়োগে বিলম্ব : AACO নিয়োগে বিলম্বের ফলে গ্রাম আদালতের সক্রিয়তা ব্যাহত হচ্ছে কারণ AVCB-III এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে AACO গ্রাম আদালতের পেশকার (বেঞ্চ ক্লার্ক) হিসেবে কাজ করবে। পরিকল্পনা অনুসারে , LGD AACO নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে কিন্তু একাধিক রিট আবেদনের পর হাইকোর্টের আদেশে কিছু জেলায় এই পদে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের সমস্যা সংক্রান্ত পর্যালোচনা :
বিচার বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গ্রাম-আদালত কার্যক্রমের তদারকি এবং পর্যবেক্ষণ ডিজিটালাইজেশন এবং অনলাইন শিখন পদ্ধতির মত নানামুখী উদ্ভাবনী পদ্ধতি প্রয়োগ ও মূল্যায়ন প্রকল্প শেষ হওয়ার পরেও গ্রাম-আদালত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য জেলা রিসোর্স টিম ( ডিআরটি ) ও উপজেলা রিসোর্স টিম ( ইউআরটি ) এর সক্ষমতা বৃদ্ধি হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর ( এএসিও ) দের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাম আদালত পরিচালনায় ইউনিয়ন পরিষদ কর্মীদের উপর নির্ভরতার সুযোগ সৃষ্টি করা গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানী য় পর্যা য়ে আর্থিক সংস্থান/বরাদ্দ প্রদান । প্রকল্প সহা য় তা ধীরে ধীরে হস্তান্তর করা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব গ্রহণের সুযোগ করে দেও য়া প্রকল্পের শুরুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ( এলজিডি ) এবং অন্যান্য অংশীজনদের সাথে পরামর্শক্রমে প্রত্যাগমন কৌশল অবলম্বন গ্রাম আদালত কার্যক্রম স্থায়িত্বশীলকরণের কাঠামো