দোল পূর্ণিমা। (মহর্ষি বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়ের উপদেশাবলী থেকে সংগৃহীত।) (Dol Purnima --Sermon by Sage BijoyKrishna Chattopadhyaya in Bengali.).)

debkumar_lahiri 99 views 10 slides Feb 02, 2025
Slide 1
Slide 1 of 10
Slide 1
1
Slide 2
2
Slide 3
3
Slide 4
4
Slide 5
5
Slide 6
6
Slide 7
7
Slide 8
8
Slide 9
9
Slide 10
10

About This Presentation

এই উপদেশটি বেদবাণী সম্পূরিকা, তৃতীয় খণ্ডের অন্তর্গত।দোল উৎসবের এই বিজ্ঞান ১৯৪১ সালের দোল পূর্ণিমার দিন, মহর্ষি �...


Slide Content

দোল পূর্ণিমা।
(মহর্ষি িবজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যােয়র উপেদশাবলী থেেক সংগৃহীত।)
২৯েশ ফাল্গুন ১৩৪৭, ১২ই মার্চ ১৯৪১, বৃহস্পিতবার, প্রাতঃকাল।
এটা হল ব্রহ্মর্ষির দেশ। ঋিষরা এেদশেক এেকবাের ব্রহ্মবােদ সমাপ্লুত
কের গেেছন। এেদেশ কতনা আনন্দ উৎসব ও পূজাপার্ব্বণ ব্যবস্থিত!
সেগুিলেক ব্রহ্মজ্ঞের চোখ িনেয় দেখেল ধরা যায় যে এই সব ব্যবস্থাপনার
মধ্যে রেয় গেেছ একটি না একটি পরমতত্ত্বের আভাস। ছোটখাট
কর্ম্মানুষ্ঠান বা প্রচিলত কািহনী বা উপাখ্যানগুিল ব্রহ্মতত্ত্বের কোন কোন
জটিল সূক্ষ্মতত্ত্বের প্রতীকস্বরূপ গৃহীত হেত পাের, যেমন ধর দোেল রং
খেলা বা জবালার গোত্রহীন পুত্র সত্যকােমর উপাখ্যান।
রং খেলার মােন িক? তোমােদর যত রং, তোমােদর মন প্রাণ যােত পেড়
আেছ সব আত্মেদবতায় সমর্পণ কর। তুিম স্ত্রী-পুত্র রেস, িপতামাতা
রেস, িবষয় সম্পদ রেস মত্ত, সে সব ওঁেক দাও। বল--- ত্বেমব িপতা চ
মাতা ত্বেমব, ত্বেমব বন্ধুশ্চ সখা ত্বেমব, ত্বেমব িবদ্যা চ দ্রিবণং
ত্বেমব, ত্বেমব সর্ব্বং মম দেবেদব। যে যা বেল বলুক, দ্বিধা কর না। কে
জােন উৎকৃষ্ট, কে জােন িনকৃষ্ট, সব এই আত্মেদবতায় সমর্পণ কর।
যার চেেয় আর ক্ষুদ্র িকছু হেত পাের না, তাও তাঁেক উৎসর্গ কর। যাঁেক
একিদেক বলছ ভগবতী, অপরিদেক দেখেল সব রসই সেই। শত্রু িমত্র
হক, সুখ দুঃখ হক, সব তাঁেতই। িক সর্ব্বগ্রাসী ওঁ র শক্তি। যেমন কের
তাঁেক বরণ করনা, কোনটােতই যেন তাঁর কুণ্ঠা আসেছ না। তাঁর ভাবটা
যেন--যা খুশী কর আমােক িনেয়। িকন্তু যতক্ষণ না পরমতত্ত্ব সম্বন্ধে

জ্ঞান হয় ততক্ষণ িক করেত পারা যায় ? একটা awefulness এেস
যায়,----িনেজর জীবেনর পঙ্কিলতা যেন িপছেন জিড়েয় ধের।
ধন্য আদর্শ ঋিষেদর। ধন্য তাঁেদর চোখ। আমরা তাঁেদর অনুধাবন
করেত ভুেল যাচ্ছি। কেন এই ফল্গু উৎসবটা তাঁরা কের গেেছন, তার খেঁই
হািরেয় ফেলিছ। যিদ এই জ্ঞানটি বুেক সমুজ্বল থােক যে আিম িপতা
বিল, ভ্রাতা বিল, বন্ধু বিল, এ আর কােকও বলিছ না, তাঁেকই বলিছ,
তাহেল িক আর মানুেষর চেতনার গিত কোথাও অব্যাহত না থােক।
যতই এইরকম ব্যবহার করেত পারেব, ততই অভয় আসেব। তখন
এইরূপ যা িকছু ব্যবহার সম্ভব হেব। বেল িদেয়িছ, ওঁ র সঙ্গে যিদ সত্য
হার্দ্য ব্যবহার করেত চাও, ওঁ র িদেক খািল চেেয় থাক, এই আলোর িদেক
চেেয় থাক। শুধু এইটুকু নয়। তোমার রং তুিম ওঁ র গােয় িদেত থাক,
তখন ওঁ র যা িকছু ধর্ম্ম---যেমন িনয়ন্তৃত্ব, স্বাধীনতা, প্রভৃিত সব রং
তোমার গােয় ঢেেল দেেবন।একটা একটা ফল্গু পিরেয় দেখ না ? মা
বল , ভাই বল, শত্রু বল, িমত্র বল, আর দেখ কেমন উিন সােজন,
তখন সত্যি ধন্য হেয় যােব, বুঝেব কােক িনেয় নরাচরা করছ। এ খািল
ভােবর কথা নয়। হৃদয় বা প্রােণর যে বাহ্যািভমুখী গিত তার নাম ইন্দ্রিয়
বা ইদংদ্রষ্টা। ওেদর কায হল একিদেক বািহর থেেক িজিনষ ধের আনা ও
িভতের দেওয়া, আবার িভতর থেেক বািহের চািলেয় দেওয়া। এই
উভয়মুখী গিতর নাম দোলা। এ দোলায় গোিবন্দেক দর্শন কর---অর্থাৎ
িযিন তোমার ইন্দ্রিয়গুলো চরান, তাঁেক দর্শন কর। দোলায়াম্‌ গোিবন্দং
দৃষ্ট্বা মালঞ্চে মধুসূদনম্‌। রেথ চ বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন িবদ্যেত।।
দোলা বা গোিবন্দ বেলিছ, এখন মালঞ্চ মােন শুন। মালঞ্চ অর্থে
শোভাময় এবং শ্রীময় এই িবপুল িবশ্ব। মধুসূদন অর্থে িযিন মধুৈকটভ

রূপ দুটা জীবভাবেক িবনাশ কেরন। এই ভাব দুটা হল, (১) অন্বেষণ বা
অণুএষণা, অর্থাৎ বািহর থেেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুেক পাবার জন্য এষণা
করেছ, বা ইচ্ছার গিত চেলেছ। এইটার নাম মধু। (২) সংগ্রহ বা সঞ্চয়
করেছ। এষণা করেছ, এবং যা পাচ্ছে তােক কামেড় ধেরেছ ----এেক
কীট বেল। যা পায় তাই িভতের কৌটায় ভের রেেখ দেয়, এই হল কৈটভ।
এই শোভাময় স্থূল িবশ্বে ----এই মালঞ্চে একটা িকছু দেখেত পেেয়ছ িক
তার িদেক চোখ বারাচ্ছ। এই মধুেক িবনাশ করেত হেল
মালঞ্চে মধুসূদনেক দেখেত হেব।রেথ চ বামনং দৃষ্ট্বা--রেথ বামনেক
দেখেল। বামন মােন বামেদব িসদ্ধিদাতা। ইিন তোমার হৃদয়রেথ বা
অন্তরাকােশ অবস্থান কের তোমার রথ বা হৃদেয়র গিত পিরচালনা
করেছন। িতিন বেলন কোথায় রথ িনেয় যাব বল--- আিম তোমার
হৃদয়রেথর সংস্কারাকােশ অবস্থান করিছ। কুরুক্ষেত্র রণাঙ্গেন যেমন
গোিবন্দ অর্জ্জুেনর রেথ বেস অশ্ববল্গা ধারণ কের রথ পিরচালনা
কেরিছেলন, তেমন আিম এখােন তোমার হৃদয়রেথ অর্থাৎ সংস্কারাত্মক
আকােশ থেেক তোমায় িসদ্ধিসকল ঢেেল িদই। এই হল বামনেক রেথ
দেখা।
তা হেল প্রথেম দোলায় গোিবন্দেক দেখেত হেব। সেখােন িতিন
গোিবন্দরূেপ তোমার জীবভাবীয় উভয়মুখী প্রাণাত্মক গিত পিরচালনা
করেছন বা গোসকল চরাচ্ছেন। আবার তোমারই মালঞ্চে বা তোমার
স্থূলাত্মক দেহিবশ্বে িতিনই মধুসূদনরূেপ তোমার জীবভাব িবনাশ
করেছন। আবার তোমার সংস্কারময় গ্রন্থি পািকেয় ধের বামনস্বরূেপ
তোমার হৃদয়রথ পিরচালনা করেছন--িক অদ্ভুত !

বামন হেলন িনজবোধ স্বরূপতা, ইিন িনেজই হাত, িনেজই চোখ।
তোমরা বেল থাক িনেজর হাত, িনেজর পা। একবার শুধু বল যে িনেজই
হাত, পা, চোখ, কান। তাহেলই ব্রহ্মগ্রন্থি ফেেট যােব। অয়মাত্মা
সর্ব্বকর্ম্মা সর্ব্বকামঃ সর্ব্বশব্দময়ঃ সর্ব্বস্পর্শময়ঃ সর্ব্বরসময়ঃ ভারূপঃ
সত্যসঙ্কল্পঃ। িনেজ সর্ব্বধর্ম্ম সম্পন্ন---িনেজই সর্ব্বরূপময়, সর্ব্বরসময়
ইত্যািদ। সব রূপ আেছ এখােন। িক রূপ দেখেত চাও ? যা কখন
দেখিন, সেই মোিহনীরূপও এখােন আেছ। আমার ছেেলটার কোন গুণই
নাই----কালো, রোগা, পেট জোড়া িপেল, তবুও সে তোমার চোেখ কত
সুন্দর---কেননা সে তোমার ছেেল।এইরূেপ সর্ব্বরূেপ সর্ব্বরেস সমন্বিতা
মা। এমন যে মা এেত িনেজ গেল যাওয়া ছাড়া আর উপায় িক ! এই
মােক বরণ করায় িক উল্লাস---িক আনন্দ ! শুধু রূপরসই যে আেছ তা
নয়, এেত সর্ব্বশক্তি, অিণমা, লিঘমা, ঈিশত্ব, আপ্তকামত্ব অবিধ আেছ।
এই মানুষটার পক্ষে এত সব লাভ সম্ভব ! খািল িহসাবটাই একবার দেখ
না !
বািহর থেেক দেখেত কোথায় ভগবান আর কোথায় বা আিম ! উিন কী
মহান্‌ আর আিম কত নগন্য।এর সঙ্গে আমার যে পিরচয় আেছ এই
সাড়াটি পর্যন্ত নাই। আিম যে িবশ্বনােথর সােথ related এ ক্ষুদ্র জীবেন
এর response মোেটই নাই। ওঁ র সঙ্গে সম্বন্ধ পাতােত অন্তর সাড়া পায়
না। িকন্তু এখন িক দেখিছ ? এই চেতন দেবতার সকল িসদ্ধি, সকল
ঐশ্বর্য্যে এমন িক ঈিশত্বে পর্যন্ত আমার access রেয়েছ। এঁেক চেন।
সত্যই উিন যা, সেই চোেখ একবার ওঁেক দেখ ত। একবার বল দেিখ-----
হে আমার চেতন দেবতা তুিম আলোস্বরূপ, সত্যই তুিম আমার জগৎ।
যােক ভাই বিল, ভগ্নী বিল, স্ত্রী বিল, পুত্র বিল, এ সব সত্যি তুিম।

আজ আিম যে শক্তিত্ব, ঈিশত্ব পর্যন্ত বিল, এসবও সত্যই তুিম। এমনিক
আিম যে আমার িনজত্ব িনজত্ব বিল, সেও তুিম। এঁেক িডঙ্গিেয়
supersede কের কোথায় পদক্ষেপ করব ?
িতিন বেলন ---তুিম এমন কুণ্ঠাময় জীব কেন ? তুিম ভাত খেেত যােব,
যাও না ভয় িক ? তুিম কেব ভাত খেেত বেসছ আর আিম তোমােক
বারণ কেরিছ ? আিম তোমার সঙ্গে সঙ্গে খাচ্ছি, তুিম আমােক িনেয়
খাও না, আমােক বাদ িদচ্ছ কেন ? তুিম স্ত্রী পুত্র িনেয়, িবষয় আশয়
িনেয় আদর আহ্লাদ করেত চেলছ, সে তো বেশ, িকন্তু আমােক ফেেল
ছেলছ কেন ? তুিম দেখছ as if আিম নেই। তুিম যে সকল রেসর
প্রত্যাশী সে সব যে আিমই পিরেবশন কির। আিম না ঢুকেল তোমার স্ত্রী
আর স্ত্রী থােক না, আিম না ঢুকেল তোমার পুত্র আর পুত্র থােক না।
আিম না থাকেল তোমার স্ত্রী-পুত্র বোধ িক থােক ? তেব আমায় ছেেড়
যেেত চাও কেন ? আমােক িনেয় িনেয় চল, তাহেল এখন তুিম যে রস
পাও তা ঢের বািড়েয় তোমােক ভোগ করেত দেব। এখােন তুিম কতটুকু
রস পাও। তোমার স্ত্রীর যে বাঁধা limited রূপ আেছ, এখন তুিম সেইটুকু
মাত্র ভোগ কর। হেত পাের সে সুন্দরী ---িকন্তু সে মাত্র একটি। িকন্তু
আমােক তার সঙ্গে জুেড় দাও, দেখেব ও অনন্ত। যে দেবতা এইরূেপ
িবরাজ কের সব কুণ্ঠা দূর কের দেন, তাঁর নাম বৈকুণ্ঠপিত। কোন কুণ্ঠা
নাই, চেল এস----এই তাঁর ধ্বিন।িকন্তু আিম িক পািপষ্ঠ---এসব আিম
দেখিছ না। তুিম যখন এইরূপ আমার হেত পার, তখন তুিম এেস এমন
ভােব দাঁড়াও যে আিম আর তোমােক ছাড়ব না। হে গুরু আমার দেবতা
আমার, তুিম আমার সংস্কারগুিল আলো কের স্বয়ংজ্যোিত হেয় দাঁড়াও
যতক্ষণ না আিম তোমায় বরণ কের উঠেত পাির। আজ আমার

অনুরাগ এেসেছ, তোমার পিরচেয়র আভাস পেেয় তোমােক চাইিছ, িকন্তু
শক্তিেত কুলাচ্ছে না। িকন্তু আমার চাইই তোমােক।
তোমার বুেকর িভতর একবার দেখ তো। কতবার বেলছ তুিমই আমার
প্রাণ ---তুিম আত্মা, তুিম আত্মার আত্মা, িকন্তু বন্যার জল যখন সের
যায় তখন যে মাটি সেই মাটি। তখন ভগবান যে তলায়, সেই তলায়
পেড় রইেলন। িতিন যতক্ষণ না রুদ্রগ্রন্থিেত দাঁড়ান, ততক্ষণ এ হয় না।
তখনই তুিম বেল উঠেব--তুিম না িদেল কে আমায় দেেব ! সুতরাং এখন
যিদ না নাও, সে দোষ তোমার। কেন ? আিম তোমােদর বরাবর বেল
আসিছ, আিম তোমােদর ক্ষিণক সাধনায় িসদ্ধ কের িদেত চাইিছ। তার
ফল হেব এই যে আমার মহাপ্রয়ােণর সময় তুিম এেস দাঁড়ােব, তেবই
আিম এ শরীর ছাড়ব। আিম যখন মিরিন ---বেঁেচ রেয়িছ, সেই সময়
তুিম এস। এই হল ক্ষিণক সাধনা। এ িক কের সম্ভব হয় দেখ। মেন কর
তুিম খেেত বেসছ, তখন একটি মািছ তোমার নােক এেস বসল। তুিম
তখন খাওয়া ফেেল -----তোমার এত বড় একটা ভোগ ছেেড়----তুিম
মািছেক তাড়াবার জন্য হাত ওঠােল। ক্ষিণক সাধনা ঠিক এইরকম। তুিম
যত জাগিতক ব্যাপাের ডুেব যাও না কেন, আিম তোমােক এমন
সুড়সুড়ািন দেব যার ঠেলায় তুিম আমার িদেক চেল আসেব।এেত
িবন্দুমাত্র অিতরঞ্জন নাই। আিম কল্পনা কের িকছু বিল না; যাচাই কের
তেব বিল। আমার বাল্যকাল থেেক এই ধারা। এমন কোন মানুষ আেছ,
যার বুেক মরবার সময় ত্রািহ ত্রািহ ভাব জাগেব না, যে বাবাগো বেল
কেঁেদ উঠেব না। যাঁেক দেিখেয় িদচ্ছি, ওই আত্মদবতােক দেখেল আর িক
তোমার অমন ত্রািহ ভাব বেরুেব। তখন িক তুিম বেল উঠেব না ---ওগো

আত্মেদবতা তুিম থাকেত আিম িক আর মরব ! সম্মুেখ দেখিছ আমার
আত্মেদবতা---আিম আর যাব কোথায় !
এই আত্মেদবতায় ব্যবহারশীল হেত পাচ্ছ ? তেব নমস্তে বহুরূপায়
িবষ্ণেব পরমাত্মেন বেল দেবতােক রং দাও। িকন্তু এত রং যে ভগবােনর
গাময় মাখােল তা ছাড়ােব িক কের ? এই জন্য দোল খেলার পর,
ঠাকুরেক অিভেষক কের তাঁর িনরঞ্জন দেখেত হয়। আিমই সব রং, তাই
আমার গােয় কোন িবেশষ রং লােগিন। সব মেেখও আিম িকছু মািখ
িন। যেমন একটা আয়নার কাঁেচ রং লাগােল সেটা আয়নােত লােগ না,
এ ঠিক তেমিন। ভগবান সত্যিই রং মােখন, িকন্তু ব্যাপারটি হল িতিন
িনেজ রং হেয় রং মােখন। তাই মেেখও যেমন তেমনই থােকন----as if
মােখন নাই। এ িক অপূর্ব্ব তত্ত্ব ! তা যিদ না হত, িতিন রং মেেখই যিদ
বেস থাকেতন, তা হেল 'িকছুই চাই না' জ্ঞােন যে সম্বুদ্ধ, তার িক িতিন
আরাধ্য দেবতা হেত পারেতন ? তাঁেক আর এক এমন দেবতােক ডাকেত
হত। দেবতা এত রং মেেখও বলেত পােরন আিম যেমন তেমিন আিছ।
তাই যে বেল আিম িকছু চাই না, তােকও উিন বলেত পােরন---- বেশ,
তুিম িকছু চাও না, তেব এস আমার কােছ । সত্যং জ্ঞানং অনন্তং ব্রহ্ম
বেল িযিন ফুেট উঠিছেলন, িতিনই িক এই ! এ এেকবাের পাগল কের
ছেেড় দেয় ! সব ইন্দ্রিয় ধর্ম্ম ওঁেতই। উিন সব---- একথা যেমন সত্য,
উিন িকছু নন একথাও তেমন সত্য ! এ কী ভগবান ! এটা িক অদ্ভুত !
শুনেত অদ্ভুত লােগ, িকন্তু জগেত সব িজিনষই এইরূপ। জেল তরঙ্গ
আেছ, জলই তরঙ্গ হেয় ছোটাছুটি করেছ। িকন্তু জলজ্ঞান ও তরঙ্গজ্ঞান
----এ দুটা জ্ঞােন িক ঠেকােঠিক আেছ ? অলঙ্কার জ্ঞান ও সুবর্ণ
জ্ঞান----- এ দুটােত িক কোন মেশােমিশ আেছ ? তরঙ্গ হেয়ও জেলর

জলত্ব অটুট, গহনা হেয়ও সোনা অিবকৃতই থােক। সোনােক ফের যত
আকাের িনেত চাও, ততরকেম তােক গঠিত করেত পার। সেইরূপ, এই
দেবতা সর্ব্ব রেস ভরা, তোমায় সব িদেত পােরন, আবার তাঁর
আত্মেদবতা স্বরূেপ কোন রস দেখেত পােব না, অথচ সব রসই সেখান
থেেক ঠেেল উঠেত পাের। ভগবানেক ডাকেত িগেয় কেবল ডাইেন
দেখলাম, বাঁেয় দেখলাম না --- এ হবার জো নাই। এ িদেকও যেমন, ও
িদেকও তেমনই রেয়েছন। ইিনই ব্রহ্ম, আত্মস্বরূপ, আবার ইিনই সত্যং,
জ্ঞানং, অনন্তং। এ িক অদ্ভুত কৌশল! ইিন খািল সৌন্দর্য্যের িদেক নয়,
ইিনই আবার অসুন্দর। জগৎ প্রকাশ মােন ক্রিয়া প্রকাশ। িকন্তু িবপরীত
মেরু না থাকেল কোন ক্রিয়াই হয় না। এটা symbolised হেয়েছ
আমার জোরা জোরা ইন্দ্রিেয়---দুটা চোখ, দুটা কান, দুটা হাত, দুটা পা,
দুটা মস্তিষ্ক ( লঘু মস্তিষ্ক ও গুরু মস্তিষ্ক)। ডান চোখ ও বাম চোখ মােন
উভয়মুখী গিত---একটা বিহরািভমুেখ আর একটা অন্তরািভমুেখ। যখন
ফুেটেছ তখন উভয়িদেকর প্রাধান্য িনেয় জন্মেেছ। িকন্তু এেদর জন্ম ওই
আত্মেদবতা থেেক। যে ভােবই ইিন খেলা করেত যান, ইিন এই double
aspect িনেয় যান। এই ওঁ র লীলা। যেখােন ক্রিয়া প্রকাশ হয়, সেখােনই
দ্বে বাব ব্রহ্মণো রূেপ দেখেব। তুিম বলেব ---এত সব কথা নাই বা
জানলাম। আিম খািল ঐ রেস মেেত থাকব। তা হেব না। এ তোমােক
জানেত হেব, নেচৎ অবাধ ভগবান নেওয়া হেব না। যখন িকছু চাইিছ
বলিছ তখন যে দেবতা ফুটেছন আর যখন িকছু চাই না বলিছ তখনও
সেই আত্মেদবতাই ফুটেছন। যখন িকছু চাই না বলিছ তখন 'িকছু চাই
না' স্বরূপ ঐ িনরঞ্জন দেবতার মূর্তি ফুটল, তুিম এেকবাের ন্যাংটা িশব
হেয় গেেল, আর যখন িকছু চাইিছ, তখন 'িকছু চাইিছ' স্বরূেপ সেই

দেবতাই ফুেট উঠেলন। চোখ যেন না একবারও ঠেক, সেইজন্য এসব
জানা দরকার।
জীেবর সাংঘািতক অবস্থা হল এই মধ্য অবস্থা। যখন জীব অজ্ঞান
অবস্থায় থােক তখন সে বেপরোয়া, আবার যখন সে প্রকৃত জ্ঞানী হয়
তখনও সে বেপরোয়া। িকন্তু যখন তুিম এই মধ্য অবস্থায় জগৎ ভোগ
করছ তখন সেই ভোগ তোমার িমষ্ট লােগ; তবুও বলছ--এই সব বৃথা
আমার ভগবানেক ডাকা হল না। সব ভোগটা িতক্ত মেন হয়। এ িক
দুর্দ্দশা ! যেটা পরম ভোগক্ষেত্র, যেখােন রািশ রািশ ভোগ ফুটেছ,
যেখােন কোন বন্ধন নাই, সেখােন তুিম যা পাচ্ছ তাও limited ! তার
তলায় আেছ বন্ধন। যা খেলাম তা পেেটর িভতর িগেয় কর্ম্মফলরূপ িবষ
হেয় গেল ও তা থেেক নানারূপ germ তৈির হেয় শরীরটােক িনপাত
কের। আমরা বিল--- অিনত্য সংসার, জীবন অন্ধকার, বৃথা কােয সময়
গেল, ইত্যািদ। এ িক দৈন্য দুর্দ্দশা ! িকন্তু যখন ঐ ভোগ ওঁেক িনেয়ই
করেব, তখন বেপরোয়া হেব। এই শোচনীয় অবস্থা থেেক উদ্ধার পােব
তখনই, যখন গুরু দেিখেয় িদেবন, যে একটা কায, একটা চাঞ্চল্যও
তোমােক মারবার জন্য হয় িন---এ তোমার কােছ এেকবাের ভগবতীেক
এেন িদচ্ছেন। এই জ্ঞানেদবতাই তোমােক উভয় িদেক ভগবতীর অবস্থান
দেিখেয় িদেবন। এই জ্ঞােন ঠেকেত পার বা না পার সেটা কথা নয়,
তোমায় জানেত হেব এই ব্যাপারটি সত্য। ব্রহ্মগ্রন্থিেত intellect িদেয়
দেেখ নাও, আর থাকেত পারা না পারা হল রুদ্রগ্রন্থির ব্যাপার। থাকেত
পার আর না পার, জপ তপ কর বা করার সময়ও পাও না, তবু দেখ যে
গুরু বলেছন তুিম ঠিক আছ। তোমার চোখ থাকেল তুিমও বলেত, সব
ঠিক আেছ---আিম রকমাির মূর্ত্তি ধরিছ বেট িকন্তু মূেল ঠিক আিছ । No

discouragement, no despondency. এেত নৈরাশ্যের স্থান
কোথায়?
------------------------------------------------------------------------------
পিরিশষ্ট।
এই উপেদশটি বেদবাণী সম্পূিরকা, তৃতীয় খণ্ডের অন্তর্গত।দোল
উৎসেবর এই িবজ্ঞান ১৯৪১ সােলর দোল পূর্ণিমার িদন, মহর্ষি
িবজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যােয়র দ্বারা উক্ত হয়। দোলোৎসেবর অন্যান্য
বৎসেরর যে সকল উপেদশ, তা বেদবাণীর অন্যান্য খণ্ডে প্রকািশত
হেয়েছ।এই সকল উপেদশগুিল, তাঁর িশষ্যা স্বর্গীয়া সরলােদবী
চৌধুরানী, এবং অন্যান্য িশষ্যগেণর দ্বারা শ্রুিতিলখেনর দ্বারা িলিপবদ্ধ
এবং সম্পািদত হয়।
দেবকুমার লািহড়ী। [email protected]