Genetics and Animal Breeding in diploma level.pptx
ronyakramulahbau
5 views
131 slides
Sep 02, 2025
Slide 1 of 131
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10
11
12
13
14
15
16
17
18
19
20
21
22
23
24
25
26
27
28
29
30
31
32
33
34
35
36
37
38
39
40
41
42
43
44
45
46
47
48
49
50
51
52
53
54
55
56
57
58
59
60
61
62
63
64
65
66
67
68
69
70
71
72
73
74
75
76
77
78
79
80
81
82
83
84
85
86
87
88
89
90
91
92
93
94
95
96
97
98
99
100
101
102
103
104
105
106
107
108
109
110
111
112
113
114
115
116
117
118
119
120
121
122
123
124
125
126
127
128
129
130
131
About This Presentation
Genetics and Animal Breeding in bangla
Size: 64.16 MB
Language: none
Added: Sep 02, 2025
Slides: 131 pages
Slide Content
Course Conducted By MD. AKRAMUL HAQUE BCS (Livestock) Lecturer ILST, Gaibandha Genetics and Animal Breeding
জেনেটিক্স কাকে বলে ? জেনেটিক্স ( Genetics) হলো জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যা বংশগতি ( heredity) এবং জিনের ( genes) মাধ্যমে প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলো কীভাবে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয় তা নি য়ে আলোচনা করে। The field of biology that deals with the study of heredity and variation. প্রজনন জিন ক্রোমোসোম DNA বংশগতি বৈচিত্র্য
জেনেটিক্সের শাখাসমূহঃ Classical Genetics ( প্রচলিত বংশগতিবিদ্যা) জীন কীভাবে উত্তরসূরিতে সঞ্চারিত হয়, তা নিয়ে মেন্ডেলিয়ান সূত্রের ভিত্তিতে আলোচনা করে। ২. Molecular Genetics ( আণবিক বংশগতিবিদ্যা) ডিএনএ, আরএনএ এবং প্রোটিন সংশ্লেষণের মাধ্যমে জীনের কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করে। ৩. Cytogenetics ( কোষজ বংশগতিবিদ্যা) কোষের ক্রোমোজোম ও তাদের গঠন, সংখ্যা ও আচরণ বিশ্লেষণ করে
জেনেটিক্সের শাখাসমূহঃ ৪. Population Genetics ( জনসংখ্যাগত বংশগতিবিদ্যা) একটি জনসংখ্যায় জীনের বণ্টন, পরিবর্তন ও বিবর্তনের হার নিয়ে কাজ করে। ৫. Quantitative Genetics ( পরিমাণগত বংশগতিবিদ্যা) জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জটিল বৈশিষ্ট্য যেমন উচ্চতা, দুধ উৎপাদন প্রভৃতির বিশ্লেষণ করে। ৬. Genomics ( জিনোমিকস) সম্পূর্ণ জিনোম বা জীবের সমস্ত জীনের কার্য ও আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা করে।
জেনেটিক্সের শাখাসমূহঃ ৭. Epigenetics ( ইপিজেনেটিক্স) জীনকে না পরিবর্তন করেও তার কার্যক্ষমতা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তা ব্যাখ্যা করে। ৮. Developmental Genetics ( উন্নয়ন বংশগতিবিদ্যা) ভ্রূণের বিকাশে জীনের ভূমিকা কী, তা বিশ্লেষণ করে। ৯. Behavioral Genetics ( আচরণগত বংশগতিবিদ্যা) জীন কীভাবে প্রাণীর আচরণ প্রভাবিত করে তা ব্যাখ্যা করে। ১০. Biometrical Genetics ( বায়োমেট্রিকাল জেনেটিক্স) পরিসংখ্যান ব্যবহার করে জেনেটিক বৈচিত্র্য বিশ্লেষণ করে।
জেনেটিক্সের গুরুত্ব ও ক্ষেত্র ( Importance and Scope of Genetics) ✅ জেনেটিক্সের গুরুত্ব ( Importance of Genetics): ১. বংশগত রোগ নির্ণয়ে সহায়ক – থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, ডাউন সিনড্রোমসহ অনেক রোগের কারণ জানা যায়। ২. উন্নত প্রজাতি সৃষ্টি – গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও উদ্ভিদের উন্নত জাত উদ্ভাবনে সাহায্য করে। ৩. জৈবপ্রযুক্তি ও জিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভিত্তি – ইনসুলিন উৎপাদন, ভ্যাকসিন আবিষ্কার ইত্যাদির জন্য অপরিহার্য। ৪. মানব বিবর্তন বোঝায় সহায়তা করে – মানব জাতির ইতিহাস ও বিবর্তনের রহস্য উদঘাটন করে। ৫. আনুপাতিক ও জৈবিক গবেষণায় সহায়ক – জীবনবিজ্ঞান, কোষতত্ত্ব ও জীবপ্রযুক্তির উচ্চতর গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ। ৬. ফরেনসিক বিজ্ঞানে অপরাধী শনাক্তকরণে ব্যবহৃত – ডিএনএ প্রোফাইলিং করে অপরাধী সনাক্ত করা যায়।
জেনেটিক্সের গুরুত্ব ও ক্ষেত্র ( Importance and Scope of Genetics) ✅ জেনেটিক্সের ক্ষেত্র বা প্রয়োগ ( Scope of Genetics): ১. চিকিৎসা বিজ্ঞান – বংশগত রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় ব্যবহার। ২. কৃষি ও প্রাণিসম্পদ – উচ্চফলনশীল ও রোগপ্রতিরোধী জাত উদ্ভাবন। ৩. ফার্মাসিউটিক্যালস – ওষুধ আবিষ্কার, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ও টার্গেটেড থেরাপিতে ভূমিকা। ৪. ফরেনসিক বিজ্ঞান – অপরাধ তদন্ত, আত্মপরিচয় যাচাইয়ে জেনেটিক্স অপরিহার্য। ৫. মানব জিনোম প্রকল্প – মানুষ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জনে সহায়ক। ৬. উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ – বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ ও প্রজননে জেনেটিক্সের ব্যবহার। ৭. পুষ্টি ও ব্যক্তিগত চিকিৎসা ( Nutrigenomics ও Personalized Medicine) – ব্যক্তির জিন অনুসারে চিকিৎসা ও খাদ্য পরিকল্পনা।
জিনোটাইপ হলো জীবের অভ্যন্তরীন জিনগত গঠন যা তার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। এবং এ ধরনের বৈশিষ্ট্য তারা পিতামাতা থেকে উত্তরোধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হ য় । যেমনঃ গরুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা তাঁর জিনোটাইপ দ্বারা নির্ধারিত হ য় । জিনোটাইপকে সাধারণত ইংরেজি অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেমন- TT, Tt, tt ইত্যাদি। TT হলো হোমোজাইগাস প্রকট ( Homozygous Dominant) জিনোটাইপ, যা জীবের প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। tt হলো হোমোজাইগাস প্রচ্ছন্ন ( Homozygous Recessive) জিনোটাইপ, যা প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। Tt হলো হেটেরোজাইগাস ( Heterozygous) জিনোটাইপ , যা প্রকট বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করলেও ভেতরে প্রচ্ছন্ন অ্যালিল বহন করে। জিনোটাইপ কাকে বলে ?
ফিনোটাইপ কাকে বলে ? ফিনোটাইপ হলো কোনো জীবের দৃশ্যমান বা পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্য, যা তার জিনগত গঠন (জিনোটাইপ) এবং পরিবেশের মিথস্ক্রি য়া র ফলে প্রকাশ পা য় । সহজভাবে বললে, ফিনোটাইপ হল সেই বৈশিষ্ট্য যা আমরা বাইরে থেকে দেখতে পাই, যেমন - চোখের রঙ, চুলের রঙ, উচ্চতা , কোনো প্রাণীর গায়ের রং বা লোমের ধরন , রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি।
🧬 হোমজাইগাস (Homozygous) কাকে বলে ? হোমোজাইগাস ( Homozygous) বলতে সেই জিনগত অবস্থাকে বোঝানো হয়, যেখানে কোনো জীবের একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী দুটি অ্যালিল ( allele) একই ধরনের হয়। এই অ্যালিল দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমের ( homologous chromosomes) একই স্থানে ( locus) অবস্থান করে। যখন একটি জীবের জিনোমে ( genome) দুটি অ্যালিলই প্রকট ( dominant) হয় (যেমন: TT ), অথবা দুটিই প্রচ্ছন্ন ( recessive) হয় (যেমন: tt ), তখন সেই জীবটিকে ওই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য হোমোজাইগাস বলা হয়।
🧬 হোমজাইগাস (Homozygous) কাকে বলে ? ধরা যাক, গরুর দুধ উৎপাদনের জন্য একটি জিন আছে যার দুটি এলিল: A = বেশি দুধ উৎপাদন ( Dominant) a = কম দুধ উৎপাদন ( Recessive) ✳️ যদি একটি গরুর জিন গঠন হয়: AA → বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য হোমজাইগাস ( Homozygous Dominant) aa → কম দুধ উৎপাদনের জন্য হোমজাইগাস ( Homozygous Recessive) এই ক্ষেত্রে, AA এবং aa — উভয়ই হোমজাইগাস জিনোটাইপের উদাহরণ।
🧬 হেটারোজাইগাস (Heterozygote) কাকে বলে ? একই বৈশিষ্ট্যের জন্য দুইটি ভিন্ন ধরনের অ্যালিল ( gene এর রূপভেদ) থাকলে সেই জীনোটাইপকে হেটারোজাইগাস বলে। উদাহরণ: যদি কোনো জীবের উচ্চতা নির্ধারণকারী জিনকে T দিয়ে প্রকাশ করা হয়, যেখানে T লম্বা হওয়ার জন্য দায়ী এবং t বেঁটে হওয়ার জন্য দায়ী: Tt : এটি একটি হেটারোজাইগাস অবস্থা। এখানে একটি প্রকট অ্যালিল ( T) এবং একটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিল ( t) উপস্থিত। যদিও প্রচ্ছন্ন অ্যালিলটি উপস্থিত, কিন্তু প্রকট অ্যালিলটির কারণে জীবটি বাহ্যিকভাবে লম্বা হবে। হেটারোজাইগাস অবস্থায়, জীবটি বাহ্যিকভাবে প্রকট বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ করে, কিন্তু তার জিনগত গঠনে প্রচ্ছন্ন অ্যালিলটি বহন করে, যা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হতে পারে।
🧬 হেটারোজাইগাস (Heterozygote) কাকে বলে ? উদাহরণ (গরুর ক্ষেত্রে) : ধরা যাক, গরুর শিংয়ের বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি অ্যালিল আছে — P = শিং থাকবে ( Dominant) p = শিং থাকবে না ( Recessive) যদি কোনো গরুর জীনোটাইপ হয় Pp , অর্থাৎ একটি P এবং একটি p থাকে, তাহলে গরুটি হবে হেটারোজাইগাস । 🧪 ফলাফল : গরুটির শিং থাকবে, কারণ ডমিন্যান্ট অ্যালিল ( P) বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
🧬 জিন (Gene) কাকে বলে ? জিন হলো বংশগতির মৌলিক একক, যা জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে এবং পিতা-মাতা থেকে সন্তানে স্থানান্তরিত হয়। এটি ডিএনএ-এর একটি অংশ, যা প্রোটিন তৈরির জন্য তথ্য ধারণ করে এবং জীবের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (যেমন- চোখের রং, চুলের গঠন ইত্যাদি) বিকাশে ভূমিকা রাখে।
🧬 জিনোটাইপ ফ্রিকোয়েন্সি কাকে বলে ? জিনোটাইপ ফ্রিকোয়েন্সি ( Genotype Frequency) হলো একটি জনসংখ্যার মধ্যে নির্দিষ্ট একটি জিনোটাইপ (জিনের সমষ্টিগত রূপ, যেমন: যেমন, AA, Aa, aa) পাও য়া র আনুমানিক হার বা অনুপাত। এটি সাধারণত দশমিক বা শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হ য় । 📌 সূত্র: জিনোটাইপ ফ্রিকোয়েন্সি=
🧬 জিনোটাইপ ফ্রিকোয়েন্সি কাকে বলে ? 📝 উদাহরণ: ধর, একটি জনসংখ্যা য় 100 জন ব্যক্তি আছে, যাদের মধ্যে: AA জিনোটাইপযুক্ত ব্যক্তি = 36 জন Aa জিনোটাইপযুক্ত ব্যক্তি = 48 জন aa জিনোটাইপযুক্ত ব্যক্তি = 16 জন তাহলে জিনোটাইপ ফ্রিকোয়েন্সিগুলো হবে: AA - এর ফ্রিকোয়েন্সি = 36 / 100=0.3610036=0.36 বা 36% Aa - এর ফ্রিকোয়েন্সি = 48 / 100=0.4810048=0.48 বা 48% aa - এর ফ্রিকোয়েন্সি = 16 / 100=0.1610016=0.16 বা 16%
🧬 হেরেডিটি কাকে বলে ? হেরেডিটি ( Heredity) বা বংশগতি হলো জীবের জিনগত বৈশিষ্ট্য (যেমন: চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, রোগের প্রবণতা ইত্যাদি) যা জিনের মাধ্যমে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হ য় । এটি জীববিজ্ঞানের একটি মৌলিক ধারণা এবং জেনেটিক্স ( Genetics) এর মূল ভিত্তি। হেরেডিটির উদাহরণ: শারীরিক বৈশিষ্ট্য: উচ্চতা, চুলের রং, ত্বকের বর্ণ। রোগের প্রবণতা: থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, ডায়াবেটিস। আচরণগত বৈশিষ্ট্য: কিছু প্রাণীর সহজাত আচরণ (যেমন: পাখির বাসা বানানো)।
🧬 ভেরিয়েশন কাকে বলে ? ভেরিয়েশন ( Variation) বা বৈচিত্র্য হলো একই প্রজাতির মধ্যে জিনগত (DNA- তে মিউটেশন, জিনের পুনর্বিন্যাস (মেইওসিসে ক্রসিং ওভার), যৌন জননে জিনের মিশ্রণ ) বা পরিবেশগত ( খাদ্য, জলবা য়ু , জীবনযাত্রার প্রভাব। ) কারণে সৃষ্ট পার্থক্য। উদাহরণ: একই খামারের দুটি গরুর উচ্চতা বা রঙ ভিন্ন মানুষের মধ্যে কারো ত্বকের রঙ dark , কারো fair যমজ ভাইয়েরও মুখমণ্ডল এক হলেও স্বভাব বা উচ্চতা আলাদা
বৈ শিষ্ট্য জিনোটাইপ ( Genotype) ফিনোটাইপ ( Phenotype) সংজ্ঞা জীবের জিনগত গঠন ( DNA- তে অবস্থিত জিনের সমষ্টি)। জিনোটাইপ ও পরিবেশের প্রভাবে প্রকাশিত বাহ্যিক লক্ষণ। উদাহরণ রক্তের গ্রুপের জিন ( A, B, O), বর্ণান্ধতার জিন। রক্তের গ্রুপ ( A, B, AB, O), চোখের রং, উচ্চতা। পরিবর্তন বংশাণুক্রমে পরিবর্তিত হয় (মিউটেশন ঘটতে পারে)। পরিবেশ ও জিনের প্রভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। পর্যবেক্ষণ জিন বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায় (ল্যাবে টেস্ট)। সরাসরি দেখা বা পরিমাপ করা যায় (চোখে দেখা যায়)। প্রভাব ফিনোটাইপ নির্ধারণে সাহায্য করে। জিনোটাইপ + পরিবেশের সম্মিলিত ফলাফল।
CHAPTER II Chromosome and Gene Concept and Written By MD. Akramul Haque BCS (Livestock)
🧬 জিন (Gene) কাকে বলে ? জিন হলো বংশগতির মৌলিক একক, যা জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে এবং পিতা-মাতা থেকে সন্তানে স্থানান্তরিত হয়। এটি ডিএনএ-এর একটি অংশ, যা প্রোটিন তৈরির জন্য তথ্য ধারণ করে এবং জীবের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (যেমন- চোখের রং, চুলের গঠন ইত্যাদি) বিকাশে ভূমিকা রাখে।
🧬 Chromosome ( ক্রোমোসোম ) ক্রোমোজোম ( Chromosome) হলো কোষের নিউক্লি য়া সে থাকা ক্রোমাটিন তন্তু দিয়ে গঠিত থ্রেড-সদৃশ গঠন যা জীবের বংশগতি বৈশিষ্ট্য বহন করে । এটি ডিএনএ ( DNA) এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত। কাজ ১। জিন বহন করা । ২। বংশগতি নিশ্চিত করা ।
🧬 DNA কি ? DNA=Deoxyribonucleic Acid DNA বা ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) হলো একটি অণু, যা সকল জীবিত প্রাণীর জন্য বংশগত নির্দেশাবলি (genetic instructions) বহন করে। এটি ক্রোমোজোমের মধ্যে প্যাকেজড অবস্থায় থাকে এবং ডাবল হেলিক্স স্টার্কচার ।
নিউক্লিওটাইড : DNA- এর মূল ইউনিট, যা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত: ফসফেট গ্রুপ ডিঅক্সিরাইবোজ শুগার নাইট্রোজেনাস বেস (৪ প্রকার): অ্যাডেনিন ( A) থাইমিন ( T) সাইটোসিন ( C) গুয়ানিন ( G) (A-T এবং C-G জোড়ায় সংযুক্ত হয়) ।
RNA কি ? RNA বা Ribonucleic Acid হলো একধরনের একসূত্রবিশিষ্ট ( single-stranded) নিউক্লিক অ্যাসিড , যা DNA থেকে বংশগত তথ্য কপি করে তা প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রি য়া য় অংশ নেয়।
RNA গঠণঃ 🔬 RNA- এর গঠন: একক স্ট্র্যান্ডেড নিউক্লিওটাইড: RNA- এর নিউক্লিওটাইডে থাকে: রাইবোজ শুগার ( DNA- তে ডিঅক্সিরাইবোজের পরিবর্তে)। ফসফেট গ্রুপ। নাইট্রোজেনাস বেস: অ্যাডেনিন ( A) ইউরাসিল ( U) (DNA- এর থাইমিনের পরিবর্তে) সাইটোসিন ( C) গুয়ানিন ( G)।
বৈশিষ্ট্য DNA RNA শৃঙ্খল ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড (দ্বি-সূত্র) সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড (একসূত্র) সু গার ডিঅক্সিরাইবোজ রাইবোজ নাইট্রোজেন বেস A, T, C, G A, U, C, G অবস্থান নিউক্লিয়াস (প্রধানত) নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম স্থায়িত্ব স্থায়ী (জিন সংরক্ষণে ব্যবহৃত) অস্থায়ী (প্রোটিন তৈরির পর নষ্ট হয়)
Allele কি ? লোকাসে অবস্থিত এক জোড়া সমজাতীয় জিনকে একে অপরের অ্যালিল বলে।
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? জিন থেকে ফিনোটাইপ বা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাওয়ার প্রক্রিয়াটি হলো জিন এক্সপ্রেশন ( Gene Expression) । সহজ কথায়, এটি হলো ডিএনএ-তে ( DNA) থাকা জিনগত তথ্যের উপর ভিত্তি করে একটি জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য (যেমন- চোখের রঙ, চুলের ধরন, উচ্চতা) প্রকাশিত হওয়ার প্রক্রিয়া। মূল প্রক্রিয়া: সেন্ট্রাল ডগমা ( The Central Dogma) জিন এক্সপ্রেশনের মূল ভিত্তি হলো মলিকিউলার বায়োলজির সেন্ট্রাল ডগমা । এই প্রক্রিয়াটি দুটি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হয়: ট্রান্সক্রিপশন ( Transcription): এই ধাপে কোষের নিউক্লিয়াসের মধ্যে DNA- এর একটি নির্দিষ্ট জিন ( gene) থেকে তথ্যের একটি অনুলিপি তৈরি হয়। এই অনুলিপিটি হলো মেসেঞ্জার আরএনএ বা mRNA (Messenger RNA)।
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? ২ . ট্রান্সলেশন (Translation): নিউক্লিয়াস থেকে mRNA সাইটোপ্লাজমে চলে আসে এবং রাইবোসোম (Ribosome) নামক কোষীয় অঙ্গাণুর সাথে যুক্ত হয়। রাইবোসোম mRNA- তে থাকা কোড বা সংকেতকে পড়ে সেই অনুযায়ী অ্যামিনো অ্যাসিড (Amino Acid) এবং পরবর্তিতে প্রোটিন (Protein) তৈরি করে। এই প্রোটিনই নির্দিষ্ট কাজটি সম্পন্ন করে , যা আমাদের চোখে বৈশিষ্ট্য বা ফিনোটাইপ হিসেবে ধরা দেয়। সুতরাং , প্রক্রিয়াটি হলো :
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? উধাহরণঃ গরুর গায়ের রঙের জন্য একটি নির্দিষ্ট জিন দায়ী, যার দুটি ভিন্ন সংস্করণ বা অ্যালিল ( Allele) রয়েছে: B ( প্রকট অ্যালিল) - যা কালো রঙের জন্য দায়ী। b ( প্রচ্ছন্ন অ্যালিল) - যা লাল বা বাদামী রঙের জন্য দায়ী। এই জিনটি মেলানিন ( Melanin) নামক রঞ্জক পদার্থ তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। গরুর কোষে দুই ধরনের মেলানিন তৈরি হতে পারে: ইউমেলানিন ( Eumelanin), যা কালো বা গাঢ় রঙ দেয়, এবং ফিওমেলানিন ( Pheomelanin), যা লাল বা হলুদ আভা দেয়।
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? কালো রঙের গরু (ফিনোটাইপ: কালো) জিনোটাইপ: BB বা Bb জিনগত সংকেত: যে গরুর জিনোটাইপ BB বা Bb, তার ডিএনএ-তে ( DNA) প্রকট ' B' অ্যালিলটি থাকে। ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন: কোষের মধ্যে ' B' অ্যালিলটি প্রথমে ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ায় mRNA- তে রূপান্তরিত হয়। এরপর ট্রান্সলেশন প্রক্রিয়ায় ওই mRNA থেকে একটি কার্যকরী প্রোটিন ( Functional Protein) তৈরি হয়।
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? ৩। প্রোটিনের কাজ: এই কার্যকরী প্রোটিনটি গরুর রঞ্জক কোষগুলোকে ( melanocytes) ইউমেলানিন ( Eumelanin) বা কালো রঞ্জক পদার্থ তৈরি করার জন্য সংকেত পাঠায়। ৪. ফিনোটাইপ প্রকাশ: পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউমেলানিন তৈরি হওয়ার ফলে গরুর গায়ের রঙ কালো হয়। যেহেতু ' B' অ্যালিলটি প্রকট, তাই একটি কপি থাকলেই (' Bb' অবস্থায়) এটি ' b' অ্যালিলের প্রভাবকে প্রকাশ পেতে দেয় না এবং কালো রঙই প্রকাশিত হয়। প্রক্রিয়া: DNA (’B’ অ্যালিল)→ mRNA→ কার্যকরী প্রোটিন→ইউমেলানিন তৈরি→ফিনোটাইপ
জিনের অভিব্যক্তি কিভাবে ফেনোটাইপিক প্রকাশ ঘটায় ? পরিবেশের প্রভাব জিনগত গঠন বা জিনোটাইপই ফিনোটাইপের একমাত্র নির্ধারক নয়। পরিবেশও ( Environment) এর ওপর বড় প্রভাব ফেলে। যেমন: উচ্চতা: একজন ব্যক্তির উচ্চতার জন্য জিন দায়ী থাকলেও, সে শৈশবে পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে তার সম্পূর্ণ জেনেটিক সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারবে না। Hydrangea ফুলের রঙ: হাইড্রেনজিয়া ( Hydrangea) ফুলের রঙ জিনের উপর নির্ভর করলেও মাটির pH দ্বারা প্রভাবিত হয়। অম্লীয় মাটিতে ফুল নীল এবং ক্ষারীয় মাটিতে ফুল গোলাপি হয়। সুতরাং, একটি জীবের ফিনোটাইপ হলো তার জিনোটাইপ এবং পরিবেশের সম্মলিত ফল। Phenotype= Genotype+Environment
জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন ) জিন কি ? জিন হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড ( DNA) অণুর একটি নির্দিষ্ট অংশ যা একটি কার্যকরী সংকেত বহন করে। এই সংকেত প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করে এবং জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন – আকার, আকৃতি, বর্ণ, এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। জিন ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে, যাকে লোকাস ( Locus) বলা হয়। সব জিনই প্রোটিন তৈরির সংকেত বহন করে না। কিছু জিন ফাংশনাল আরএনএ ( Functional RNA) যেমন- রাইবোসোমাল আরএনএ ( rRNA) বা ট্রান্সফার আরএনএ ( tRNA) তৈরির নির্দেশনা দেয়, যেগুলো প্রোটিন সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন ) জিন অ্যাকশন ( Gene action) জিন অ্যাকশন ( Gene action) বলতে একটি জেনেটিক জনসংখ্যার মধ্যে জিনের আচারণ বা প্রকাশের পদ্ধতিকে বোঝায় । এই প্রক্রিয়ার মাঝে অন্তর্ভূক্ত আছে ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনগুলো একটি জীবের বিকাশ, গঠন এবং কার্যকলাপকে কিভাবে প্রভাবিত করে , বংশগতির ধারা অনুমান করা, প্রজনন কর্মসূচিতে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করা এবং জেনেটিক রোগ নিয়ে অধ্যয়ন ইত্যাদি । জিন একশন দুই প্রকার অ্যাডেটিভ জিন একশান নন - অ্যাডেটিভ জিন একশান
১. অ্যাডিটিভ জিন অ্যাকশন ( Additive Gene Action): অ্যাডিটিভ জিন অ্যাকশন বা সংযোজনকারী জিন ক্রিয়া এমন ঘটনাকে বোঝায় যেখানে জিনের উভয় অ্যালিল সমানভাবে প্রকাশ করা হয় এবং একে অপরের উপর আধিপত্য দেখায় না। ফেনোটাইপের জন্য দায়ী জিনের জন্য প্রতিটি অ্যালিলের প্রকাশ করার সমান সুযোগ রয়েছে। ফলস্বরূপ ফেনোটাইপ হল দুটি সমজাতীয় (হোমোজাইগাস প্রভাবশালী এবং হোমোজাইগাস রিসেসিভ) প্রকারের সংমিশ্রণ। জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন )
২. নন-অ্যাডিটিভ জিনের অ্যাকশন ( Non-Additive Gene Action): নন-অ্যাডিটিভ জিন অ্যাকশনকে ডমিনেন্স জিন অ্যাকশনও বলা হয়, কারণ এতে আধিপত্যের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এই ধরনের জিন ক্রিয়ায় একটি অ্যালিল অন্য অ্যালিলের তুলনায় বেশি কার্যকর বা প্রভাবশালী হয়। ফলে, এক জোড়া জিনের মধ্যে একটি অ্যালিলের প্রভাব দমিয়ে দিয়ে অন্যটি নিজ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।নন-অ্যাডিটিভ জিন অ্যাকশনের ক্ষেত্রে, জিনোটাইপ পরিবর্তিত হলে সংশ্লিষ্ট জিনের ক্রিয়া এবং ফেনোটাইপেও পরিবর্তন ঘটে। এই কারণে, পরিমাপযোগ্য জেনেটিক মডেলে এ ধরনের জিন ক্রিয়াকে আধিপত্যমূলক জিন ক্রিয়া ( Dominance Gene Action) বলা হয়। জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন )
Genotype → Phenotype ( বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য) ----------- ----------------------------- AA → উচ্চ দুধ উৎপাদন (ডমিন্যান্ট) Aa → উচ্চ দুধ উৎপাদন (ডমিন্যান্ট কার্যকর) aa → কম দুধ উৎপাদন (রিসেসিভ) এখানে দেখা যাচ্ছে, Aa জিনোটাইপেও A অ্যালিল তার প্রভাব বজায় রেখেছে, অর্থাৎ A অ্যালিল a অ্যালিলের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে। এটাই ডমিনেন্স বা নন-অ্যাডিটিভ জিন অ্যাকশনের লক্ষণ। জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন )
Epistatis এপিস্ট্যাসিস ( Epistasis): এপিস্ট্যাসিস হলো এমন একটি ঘটনা যেখানে একটি জিন (এপিস্ট্যাটিক জিন) অন্য একটি নন-অ্যালিলিক জিনের (হাইপোস্ট্যাটিক জিন) কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় বা তার ফিনোটাইপিক প্রকাশকে পরিবর্তন করে । এটি মেন্ডেলিয়ান বংশগতির অনুপাতকে পরিবর্তন করে দেয় এবং একটি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশে একাধিক জিনের জটিল মিথস্ক্রিয়াকে নির্দেশ করে। এপিস্ট্যাসিস বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যেমন - প্রকট এপিস্ট্যাসিস, প্রচ্ছন্ন এপিস্ট্যাসিস, পরিপূরক জিন ক্রিয়া , ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, ইঁদুরের গায়ের রঙের ক্ষেত্রে এপিস্ট্যাসিস দেখা যায়। দুটি ভিন্ন জিন ইঁদুরের গায়ের রঙ নিয়ন্ত্রণ করে। একটি জিন রঙের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে, এবং অন্য জিনটি রঙের ধরন (যেমন কালো বা ধূসর) নিয়ন্ত্রণ করে। যদি প্রথম জিনটি রঙের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় (যেমন, সাদা রঙের জন্য দায়ী হয়), তবে দ্বিতীয় জিনটির প্রভাব প্রকাশ পায় না, এমনকি যদি দ্বিতীয় জিনটি কালো বা ধূসর রঙের জন্য দায়ী অ্যালিল বহন করে। এখানে প্রথম জিনটি এপিস্ট্যাটিক এবং দ্বিতীয় জিনটি হাইপোস্ট্যাটিক। জিন এবং জিনের ক্রিয়াশিলতা ( জিন একশন )
Chapter 3 Mendelian Genetics Concept and Written By MD. Akramul Haque BCS (Livestock)
গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল ছিলেন একজন ধর্মযাজক, জীববিজ্ঞানী এবং উদ্ভিদবিদ, যিনি বংশগতিবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। পরিচয়: তাকে "বংশগতিবিদ্যার জনক" বলা হয়। জন্ম: ১৮২২ সাল, অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য (বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র)। কর্ম: তিনি মটরশুঁটি গাছের উপর দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে বংশগতির দুটি যুগান্তকারী সূত্র আবিষ্কার করেন। পৃথকীকরণের সূত্র (Law of Segregation) স্বাধীন বণ্টনের সূত্র (Law of Independent Assortment) অবদান: তার গবেষণাই আধুনিক জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যার সূচনা করে। প্রকাশনা: " Experiments on Plant Hybridization" ( ১৮৬৬), কিন্তু তাঁর কাজ জীবিতকালে স্বীকৃতি পায়নি। মৃত্যু: ১৮৮৪ সাল। State Gregor Johan Mendel
Describe the contribution of Gregor Johan Mende ( গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেলের অবদান ) গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেলের অবদান নিচে উল্লেখ করা হলো: বংশগতিবিদ্যার জনক: তিনি সর্বপ্রথম বংশগতির মূলনীতিগুলো আবিষ্কার করেন, তাই তাকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয়। দুটি মৌলিক সূত্র: তিনি বংশগতির দুটি প্রধান সূত্র প্রদান করেন— পৃথকীকরণের সূত্র ( Law of Segregation) এবং স্বাধীন বণ্টনের সূত্র ( Law of Independent Assortment)। প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য: তিনিই প্রথম দেখান যে প্রতিটি জীবের মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকট ( dominant) এবং কিছু বৈশিষ্ট্য প্রচ্ছন্ন ( recessive) থাকে।
Describe the contribution of Gregor Johan Mende ( গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেলের অবদান )
Describe the contribution of Gregor Johan Mende ( গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেলের অবদান ) গাণিতিক পদ্ধতির প্রয়োগ : জীববিজ্ঞানের গবেষণায় প্রথমবারের মতো গণিত ও পরিসংখ্যানের সফল প্রয়োগ করেন , যা বংশগতির ধারা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাহায্য করে। ‘ ফ্যাক্টর ’ এর ধারণা : তিনি বংশগতির বাহককে " ফ্যাক্টর " নামে অভিহিত করেন , যা পরবর্তীতে ‘ জিন ’ (gene) নামে পরিচিতি লাভ করে। বিশুদ্ধ লাইন ও সংকরায়ণ : তিনি গবেষণার জন্য বিশুদ্ধ বংশগতির (pure line) মটরশুঁটি গাছ তৈরি করেন এবং তাদের মধ্যে সংকরায়ণ (hybridization) ঘটিয়ে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেন। ভিত্তি স্থাপন : তাঁর কাজ প্রায় ৩৫ বছর উপেক্ষিত থাকলেও , পরবর্তীতে তাঁর গবেষণাই আধুনিক জেনেটিক্সের ভিত্তি স্থাপন করে এবং এই বিষয়ে আরও গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করে।
State Mendel’s law and its application. মেন্ডেলের প্রথম সূত্র সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের ফ্যাক্টরগুলো (জিনগুলো) মিশ্রিত বা পরিবর্তিত না হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে এবং জননকোষ সৃষ্টির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করে।
State Mendel’s law and its application. ব্যাখ্যাঃ প্রথম সূত্র ব্যাখ্যা করার জন্য মেন্ডেল মটরশুঁটি উদ্ভিদের উপর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা পরিচালনা করেন। এসব পরীক্ষায় তিনি একসঙ্গে মাত্র একজোড়া পরস্পর বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদের মধ্যে পরাগ সংযোগ ঘটান। একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপর দৃষ্টি রেখে যে সংকরায়ন বা ক্রস ঘটানো হয়, তাকে মনোহাইব্রিড ( monohybrid) ক্রস বলা হয়। মেন্ডেল এ ধরনের এক পরীক্ষায় শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত (হোমোজাইগাস) একটি লম্বা ( Tall) মটরের গাছের সাথে শুদ্ধ বা হোমোজাইগাস লক্ষণযুক্ত অপর একটি খাটো ( Dwarf) মটরশুঁটি গাছের পরাগ সংযোগ ঘটান। নিচে এর ফলাফল উল্লেখ করা হলো-
State Mendel’s law and its application. ধরা যাক, মটরশুঁটি গাছের- লম্বা বৈশিষ্ট্যের প্রতীক T = ( বড় অক্ষরের) খাটো বৈশিষ্ট্যের প্রতীক = t ( ছোট অক্ষরের) প্রথম বংশধর বা প্রথম সংকর পুরুষ = F₁ জনু এবং দ্বিতীয় বংশধর বা দ্বিতীয় সংকর পুরুষ = F₂ জনু। যেহেতু ভিন্নজাত উদ্ভিদের হোমোলোগাস ক্রোমোজোমে (প্রতিটি চরিত্রের জন্য) দুটি জিন থাকে এবং উদ্ভিদ দুটি বিশুদ্ধ সেহেতু লম্বা উদ্ভিদটির জিনোটাইপ হবে TT এবং খাটো উদ্ভিদটির জিনোটাইপ হবে tt । লম্বা উদ্ভিদের গ্যামিটে থাকবে T এবং খাটো উদ্ভিদের গ্যামিটে থাকবে t। কাজেই
State Mendel’s law and its application. ধরা যাক, মটরশুঁটি গাছের- লম্বা বৈশিষ্ট্যের প্রতীক T = ( বড় অক্ষরের) খাটো বৈশিষ্ট্যের প্রতীক = t ( ছোট অক্ষরের) প্রথম বংশধর বা প্রথম সংকর পুরুষ = F₁ জনু এবং দ্বিতীয় বংশধর বা দ্বিতীয় সংকর পুরুষ = F₂ জনু। যেহেতু ভিন্নজাত উদ্ভিদের হোমোলোগাস ক্রোমোজোমে (প্রতিটি চরিত্রের জন্য) দুটি জিন থাকে এবং উদ্ভিদ দুটি বিশুদ্ধ সেহেতু লম্বা উদ্ভিদটির জিনোটাইপ হবে TT এবং খাটো উদ্ভিদটির জিনোটাইপ হবে tt । লম্বা উদ্ভিদের গ্যামিটে থাকবে T এবং খাটো উদ্ভিদের গ্যামিটে থাকবে t। কাজেই
State Mendel’s law and its application. F₂ উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে Tt এবং ফিনোটাইপ হবে লম্বা (কেননা লম্বা বৈশিষ্ট্য প্রকট এবং খাটো বৈশিষ্ট্য প্রচ্ছন্ন)। F₁ উদ্ভিদের মধ্যে সংকরায়নের ফলে দু'ধরনের গ্যামিট উৎপন্ন হবে। এদের কোনোটিতে থাকবে T এবং কোনোটিতে থাকবে t। উভয় উদ্ভিদের গ্যামিটগুলোর মিশ্রণের ফলে সৃষ্ট উদ্ভিদগুলো হবে- কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, মোট উদ্ভিদের ১/৪ অংশ বিশুদ্ধ লম্বা, ২/৪ অংশ মিশ্রিত লম্বা এবং ১/৪ বিশুদ্ধ খাটো। অর্থাৎ এদের জিনোটাইপের অনুপাত ১:২:১ কিন্তু ফিনোটাইপের অনুপাত লম্বা: খাটো = ৩:১।
State Mendel’s law and its application. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র দুই বা ততোধিক জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জীবের মধ্যে ক্রস ঘটালে প্রথম সংকর পুরুষে ( F1) কেবলমাত্র প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলোই প্রকাশিত হবে, কিন্তু জননকোষ (গ্যামেট) উৎপাদনকালে বৈশিষ্ট্যগুলো জোড়া ভেঙ্গে পরস্পর থেকে স্বতন্ত্র বা স্বাধীনভাবে বিন্যস্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন জননকোষে প্রবেশ করবে। এ সূত্রকে স্বাধীনভাবে মিলনের বা বন্টনের সূত্র ( Law of Independent Assortment)- ও বলা হয়।
State Mendel’s law and its application. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র ব্যাখ্যাঃ দুটি শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত(হোমোজাইগাস) মটরশুটি গাছ ( Pisum sativum) নেয়া হলো যার একটি গোল ও হলুদ বর্ণের বীজ এবং অন্যটি কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজ উৎপাদনে সক্ষম। ধরা যাক, বীজের গোল লক্ষণের প্রতীক R, কুঞ্চিত লক্ষণের প্রতীক r; হলুদ লক্ষণের প্রতীক Y ( বড় অক্ষরের), সবুজ লক্ষণের প্রতীক y ( ছোট অক্ষরের) প্রথম বংশধর F1 জনু এবং দ্বিতীয় বংশধর F2 জনু। মেন্ডেল-এর মতে, প্রত্যেক বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি করে ফ্যাক্টর (জিন) দায়ী। অতএব, গোল ও হলুদ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে RRYY এবং কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে rryy .
State Mendel’s law and its application. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র ব্যাখ্যাঃ দুটি শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত(হোমোজাইগাস) মটরশুটি গাছ ( Pisum sativum) নেয়া হলো যার একটি গোল ও হলুদ বর্ণের বীজ এবং অন্যটি কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজ উৎপাদনে সক্ষম। ধরা যাক, বীজের গোল লক্ষণের প্রতীক R, কুঞ্চিত লক্ষণের প্রতীক r; হলুদ লক্ষণের প্রতীক Y ( বড় অক্ষরের), সবুজ লক্ষণের প্রতীক y ( ছোট অক্ষরের) প্রথম বংশধর F1 জনু এবং দ্বিতীয় বংশধর F2 জনু। মেন্ডেল-এর মতে, প্রত্যেক বৈশিষ্ট্যের জন্য দুটি করে ফ্যাক্টর (জিন) দায়ী। অতএব, গোল ও হলুদ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে RRYY এবং কুঞ্চিত ও সবুজ বর্ণের বীজযুক্ত উদ্ভিদের জিনোটাইপ হবে rryy .
ফলাফল: গোল-হলুদ = ৯টি, গোল-সবুজ = ৩টি, কুঞ্চিত-হলুদ = ৩টি এবং কুঞ্চিত-সবুজ = ১টি অনুপাত = ৯ : ৩ : ৩ : ১
মেন্ডেলের সূত্রের প্রয়োগ ( Applications of Mendel's Laws): ১. কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত জাত উৎপাদন নতুন ফসলের জাত তৈরিতে সংকরায়ণ প্রক্রিয়া উচ্চ ফলনশীল বীজ উৎপাদন ২. পশুপালনে জাত উন্নয়ন উন্নত গবাদিপশুর জাত তৈরি দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি ৩. মানুষের বংশগত রোগ নির্ণয় থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া সনাক্তকরণ জেনেটিক কাউন্সেলিং-এ ব্যবহার ৪. আঙুলের ছাপ ও রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ ABO রক্তের গ্রুপ বিশ্লেষণ পিতৃত্ব পরীক্ষায় প্রয়োগ
মেন্ডেলের সূত্রের প্রয়োগ ( Applications of Mendel's Laws): ৫. জিন ম্যাপিং ও ক্রোমোজোম অধ্যয়ন জিনের অবস্থান নির্ধারণ লিংকেজ ও রিকম্বিনেশন বিশ্লেষণ ৬. মিউটেশন ও জিন থেরাপি বংশগত ত্রুটি সংশোধন জিন প্রতিস্থাপন চিকিৎসা ৭. বায়োটেকনোলজি ও জিন প্রকৌশল ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ ও প্রাণী তৈরি GMO ( জিএমও) উৎপাদন ৮. ফরেনসিক বিজ্ঞানে DNA বিশ্লেষণ অপরাধ তদন্তে ব্যবহার ব্যক্তি সনাক্তকরণ ৯. ইকোলজি ও বিবর্তন অধ্যয়ন প্রজাতির বৈচিত্র্য বিশ্লেষণ জনসংখ্যা জিনতত্ত্ব গবেষণা
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) লিঙ্গ নির্ধারণ কী? লিঙ্গ নির্ধারণ হল এমন একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো প্রাণীর পুরুষ ( Male) না মহিলা ( Female) হবে তা নির্ধারিত হয়। এই নির্ধারণটি জিনতাত্ত্বিক বা পরিবেশগত কারণে হতে পারে। প্রধানত তিন ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণ পদ্ধতি দেখা যায়: ক্রোমোজোমীয়, জিনগত এবং পরিবেশগত।
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) ১ . ক্রোমোজোমীয় লিঙ্গ নির্ধারণ ( Chromosomal Sex Determination) এটি সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি, যেখানে সেক্স ক্রোমোজোম ( Sex Chromosome) দ্বারা লিঙ্গ নির্ধারিত হয়। ক) XX-XY পদ্ধতি (মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী) এই পদ্ধতিতে জীবের লিঙ্গ একজোড়া নির্দিষ্ট ক্রোমোজোম দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা সেক্স ক্রোমোজোম বা অ্যালোজোম ( Allosome ) নামে পরিচিত। বাকি ক্রোমোজোমগুলোকে অটোজোম ( Autosome) বলা হয়। মহিলা ( Female): মহিলারা হোমোগ্যামেটিক ( Homogametic)। তাদের দুটি একই ধরনের সেক্স ক্রোমোজোম থাকে, অর্থাৎ XX । তাই তারা শুধুমাত্র এক প্রকারের গ্যামেট বা ডিম্বাণু তৈরি করে, যার প্রত্যেকটিতে একটি X ক্রোমোজোম থাকে। পুরুষ ( Male): পুরুষরা হেটারোগ্যামেটিক ( Heterogametic)। তাদের দুটি ভিন্ন ধরনের সেক্স ক্রোমোজোম থাকে, অর্থাৎ XY । তাই তারা দুই প্রকারের গ্যামেট বা শুক্রাণু তৈরি করে—অর্ধেক শুক্রাণুতে X ক্রোমোজোম এবং বাকি অর্ধেকের মধ্যে Y ক্রোমোজোম থাকে।
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) নিষেক প্রক্রিয়া: যদি Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু (22 A+ Y ) ডিম্বাণুকে (22 A+ X ) নিষিক্ত করে, তবে জাইগোটের (44 A+ XY ) লিঙ্গ হবে পুরুষ । যদি X ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু (22 A+ X ) ডিম্বাণুকে (22 A+ X ) নিষিক্ত করে, তবে জাইগোটের (44 A+ XX ) লিঙ্গ হবে মহিলা ।
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) খ) ZW-ZZ পদ্ধতি (পাখি, সরীসৃপ, প্রজাপতি) এই পদ্ধতিটি XX − XY পদ্ধতির ঠিক বিপরীত। পুরুষ ( Male): পুরুষরা হোমোগ্যামেটিক ( ZZ ) হয়। তারা কেবল এক প্রকারের ( Z বহনকারী) শুক্রাণু তৈরি করে। মহিলা ( Female): মহিলারা হেটারোগ্যামেটিক ( ZW ) হয়। তারা দুই প্রকারের ( Z বহনকারী এবং W বহনকারী) ডিম্বাণু তৈরি করে। এখানে, ডিম্বাণুটি কোন সেক্স ক্রোমোজোম বহন করছে তার উপর সন্তানের লিঙ্গ নির্ভর করে। উদাহরণ: সকল পাখি, কিছু সরীসৃপ, কিছু মাছ এবং প্রজাপতি, মথ।
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) গ) XX-X0 পদ্ধতি (ঘাসফড়িং ও অন্যান্য পতঙ্গ) এই পদ্ধতিতে পুরুষদের মধ্যে কেবল একটি সেক্স ক্রোমোজোম ( X ) থাকে। অন্যটির কোনো অস্তিত্ব নেই, তাই একে '0' (শূন্য) দিয়ে প্রকাশ করা হয়। মহিলা: XX ( হোমোগ্যামেটিক) পুরুষ: X 0 ( হেটারোগ্যামেটিক) উদাহরণ: ঘাসফড়িং, আরশোলা, তেলাপোকা।
লিঙ্গ নির্ধারণ ( Sex Determination) ঘ) হ্যাপ্লোডিপ্লয়েডি ( Haplodiploidy) পদ্ধতি (মৌমাছি, পিঁপড়া, বোলতা) এই পদ্ধতিতে লিঙ্গ নির্ধারণ ক্রোমোজোমের সংখ্যার ( Ploidy) উপর নির্ভর করে। মহিলা: নিষিক্ত ডিম্বাণু ( Fertilized egg) থেকে জন্মায় এবং এরা ডিপ্লয়েড (2 n) হয়। পুরুষ: অনিষিক্ত ডিম্বাণু ( Unfertilized egg) থেকে পার্থেনোজেনেসিস ( Parthenogenesis) প্রক্রিয়ায় জন্মায় এবং এরা হ্যাপ্লয়েড ( n) হয়। উদাহরণ: মৌমাছি, পিঁপড়া, বোলতার মতো হাইমেনোপ্টেরা ( Hymenoptera) বর্গের পতঙ্গ।
২. জিনগত লিঙ্গ নির্ধারণ ( Genic Sex Determination এই পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট সেক্স ক্রোমোজোম থাকে না। অটোজোমে অবস্থিত এক বা একাধিক জিন জীবের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। উদাহরণ: কিছু উদ্ভিদ (যেমন- Asparagus) এবং ইস্ট ( Yeast)।
৩. পরিবেশগত লিঙ্গ নির্ধারণ ( Environmental Sex Determination - ESD) ৩. পরিবেশগত লিঙ্গ নির্ধারণ ( Environmental Sex Determination - ESD) এই ক্ষেত্রে, নিষেক হওয়ার পর পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। ক) তাপমাত্রা-নির্ভর লিঙ্গ নির্ধারণ ( Temperature-Dependent Sex Determination - TSD) ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার সময় ইনকিউবেশন তাপমাত্রা ( Incubation temperature) লিঙ্গ নির্ধারণ করে। কচ্ছপ: বেশিরভাগ প্রজাতির ক্ষেত্রে, কম তাপমাত্রায় (<28 ∘ C ) পুরুষ এবং বেশি তাপমাত্রায় (>32 ∘ C ) স্ত্রী শাবক জন্মায়। কুমির ও অ্যালিগেটর: এদের ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটে। কম তাপমাত্রায় স্ত্রী এবং বেশি তাপমাত্রায় পুরুষ শাবক জন্মায়। উদাহরণ: কচ্ছপ, কুমির, অ্যালিগেটর এবং কিছু গিরগিটি।
৩. পরিবেশগত লিঙ্গ নির্ধারণ ( Environmental Sex Determination - ESD) খ) অন্যান্য পরিবেশগত প্রভাব অবস্থান: সামুদ্রিক কৃমি Bonellia viridis - এর লার্ভা যদি স্বাধীনভাবে সমুদ্রের তলায় পতিত হয় তবে সেটি আকারে বড় স্ত্রী কৃমিতে পরিণত হয়। আর যদি লার্ভাটি কোনো স্ত্রী কৃমির দেহের উপর পতিত হয়, তবে সেটি ক্ষুদ্র পরজীবী পুরুষ কৃমিতে পরিণত হয়। সামাজিক অবস্থা: কিছু মাছ (যেমন ক্লাউন ফিশ) তাদের সামাজিক কাঠামো অনুযায়ী লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে। দলের প্রধান স্ত্রী মাছটি মারা গেলে, সবচেয়ে বড় পুরুষ মাছটি লিঙ্গ পরিবর্তন করে স্ত্রী মাছে পরিণত হয়।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) প্রাণীর দেহে দুই ধরনের ক্রোমোজোম থাকে: অটোজোম ( Autosomal chromosome) এবং সেক্স ক্রোমোজোম ( Sex chromosome)। যে জিনগুলো সেক্স ক্রোমোজোমে অবস্থান করে, তাদের বংশানুসরণকে লিঙ্গ-সংযোজিত বা সেক্স-লিংকড বংশগতি ( Sex-linked inheritance) বলা হয়। আবার কিছু জিন অটোজোমে থাকলেও সেগুলোর প্রকাশ স্ত্রী ও পুরুষে ভিন্ন হয়, যা লিঙ্গ-প্রভাবিত ( Sex-influenced) ও লিঙ্গ-সীমাবদ্ধ ( Sex-limited) বংশগতির অন্তর্ভুক্ত। লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: X- লিংকড বংশগতি ( X-linked Inheritance) Y- লিংকড বংশগতি ( Y-linked Inheritance) লিঙ্গ-প্রভাবিত ও লিঙ্গ-সীমাবদ্ধ বংশগতি ( Sex-influenced & Sex-limited Inheritance)
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) ১. X- লিংকড বংশগতি ( X-linked Inheritance) যে জিনগুলো X ক্রোমোজোমে অবস্থান করে, তাদের বংশানুসরণকে X- লিংকড বংশগতি বলে। যেহেতু মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম ( XX ) এবং পুরুষদের একটি X ক্রোমোজোম ( XY ) থাকে, তাই এই বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রকাশ পুরুষ ও নারীতে ভিন্ন হয়।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) X- লিংকড বংশগতি দুই প্রকার: ক) X- লিংকড প্রচ্ছন্ন বংশগতি ( X-linked Recessive Inheritance) এক্ষেত্রে রোগের জন্য দায়ী অ্যালিলটি প্রচ্ছন্ন ( recessive) থাকে। বৈশিষ্ট্য: এই রোগগুলো সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। কারণ পুরুষদের একটি মাত্র X ক্রোমোজোম থাকায়, একটি প্রচ্ছন্ন অ্যালিল থাকলেই রোগটি প্রকাশ পায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে দুটি X ক্রোমোজোমেই প্রচ্ছন্ন অ্যালিল ( X a X a ) থাকলে রোগ প্রকাশ পায়। একটিতে থাকলে তারা বাহক ( carrier) হন ( X A X a )। আক্রান্ত পিতা থেকে তার কন্যা সন্তানরা বাহক হয়, কিন্তু পুত্র সন্তানরা কখনো আক্রান্ত হয় না (কারণ পুত্ররা পিতার কাছ থেকে Y ক্রোমোজোম পায়)। বাহক মাতা থেকে ৫০% পুত্র সন্তান আক্রান্ত এবং ৫০% কন্যা সন্তান বাহক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উদাহরণ: বর্ণান্ধতা ( Colour blindness): এটি লাল-সবুজ বর্ণ চিনতে না পারার একটি জিনগত ত্রুটি। হিমোফিলিয়া ( Haemophilia ): এই রোগে রক্ত তঞ্চিত (জমাট বাঁধা) হতে পারে না, ফলে সামান্য আঘাতেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) উদাহরণস্বরূপ, একজন বাহক মাতা ( X H X h ) ও একজন স্বাভাবিক পিতা ( X H Y ) এর সন্তানদের মধ্যে হিমোফিলিয়ার সম্ভাবনা: X H ( মাতা) X h ( মাতা) X H ( পিতা) X H X H ( স্বাভাবিক কন্যা) X H X h ( বাহক কন্যা) Y ( পিতা) X H Y ( স্বাভাবিক পুত্র) X h Y ( হিমোফিলিক পুত্র) ফলাফল: ২৫% স্বাভাবিক কন্যা, ২৫% বাহক কন্যা, ২৫% স্বাভাবিক পুত্র, ২৫% হিমোফিলিক পুত্র।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) খ) X- লিংকড প্রকট বংশগতি ( X-linked Dominant Inheritance) এক্ষেত্রে রোগের জন্য দায়ী অ্যালিলটি প্রকট ( dominant) থাকে। এটি তুলনামূলকভাবে বিরল। বৈশিষ্ট্য: আক্রান্ত পিতা থেকে তার সকল কন্যা সন্তান আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত মাতা (হেটেরোজাইগাস) থেকে ৫০% পুত্র ও ৫০% কন্যা আক্রান্ত হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই প্রায় সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে, তবে মহিলাদের মধ্যে এর প্রকাশ বেশি দেখা যায়। উদাহরণ: ভিটামিন-ডি রেজিস্ট্যান্ট রিকেটস ( Vitamin D-resistant rickets) ইনকন্টিনেনশিয়া পিগমেন্টাই ( Incontinentia pigmenti )
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) ২. Y- লিংকড বা হোলান্ড্রিক বংশগতি ( Y-linked or Holandric Inheritance) যে জিনগুলো Y ক্রোমোজোমে অবস্থান করে, তাদের বংশানুসরণকে Y- লিংকড বংশগতি বলে। বৈশিষ্ট্য: এই বৈশিষ্ট্যগুলো শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়। আক্রান্ত পিতা থেকে তার সকল পুত্র সন্তানের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য সঞ্চারিত হয়। মহিলাদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য কখনোই প্রকাশ পায় না, কারণ তাদের Y ক্রোমোজোম নেই। উদাহরণ: হাইপারট্রাইকোসিস ( Hypertrichosis): কানের পিনাতে ( outer ear) চুল গজানো। SRY জিন: যা পুরুষের লিঙ্গ নির্ধারণ করে।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) ৩. লিঙ্গ-প্রভাবিত ও লিঙ্গ-সীমাবদ্ধ বংশগতি এই বৈশিষ্ট্যগুলোর জিন অটোজোমে থাকা সত্ত্বেও এদের প্রকাশ লিঙ্গ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ক) লিঙ্গ-প্রভাবিত বৈশিষ্ট্য ( Sex-influenced Traits) এই বৈশিষ্ট্যগুলো পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েই প্রকাশ পেতে পারে, কিন্তু এক লিঙ্গে এটি প্রকট এবং অন্য লিঙ্গে প্রচ্ছন্ন হিসেবে কাজ করে। উদাহরণ: মানুষের টাক ( Baldness) টাক পড়ার জন্য দায়ী জিনটি পুরুষের ক্ষেত্রে প্রকট কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে প্রচ্ছন্ন । জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপ: BB: পুরুষ (টাক), মহিলা (টাক) Bb: পুরুষ (টাক), মহিলা (স্বাভাবিক) bb: পুরুষ (স্বাভাবিক), মহিলা (স্বাভাবিক) এই ভিন্নতার কারণ হলো পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন , যা এই জিনের প্রকাশে সহায়তা করে।
লিঙ্গ-সম্পর্কিত বংশগতি ( Sex-Related Inheritance) খ) লিঙ্গ-সীমাবদ্ধ বৈশিষ্ট্য ( Sex-limited Traits) এই বৈশিষ্ট্যগুলোর জিন পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের অটোজোমে থাকলেও এর প্রকাশ শুধুমাত্র একটি লিঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে। উদাহরণ: দুধ উৎপাদন: দুধ উৎপাদনের জিন পুরুষ ও স্ত্রী উভয় গরুর মধ্যেই থাকে, কিন্তু শুধুমাত্র স্ত্রী গরুই দুধ উৎপাদন করতে পারে, কারণ তাদের দেহে প্রয়োজনীয় হরমোন (যেমন প্রোল্যাকটিন) থাকে। দাড়ি-গোঁফ: পুরুষের দাড়ি-গোঁফ গজানোর জিন মহিলাদেরও থাকে, কিন্তু টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে এটি শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই প্রকাশ পায়। ময়ূরের পেখম: শুধুমাত্র পুরুষ ময়ূরের মধ্যেই সুন্দর পেখম দেখা যায়, যা স্ত্রী ময়ূরে অনুপস্থিত।
CHAPTER IV Chromosome and Gene Concept and Written By MD. Akramul Haque BCS (Livestock) Farm Animal Genetics Resources in Bangladesh ( FAnGR )
FaNGR =Farm animal Genetic Resourcs FAnGR ( Farm animal Genetic Resources ) বলতে সেই সমস্ত গৃহপালিত প্রাণীর প্রজাতি, জাত ( breed) এবং জনগোষ্ঠী ( population)- এর মধ্যে থাকা জিনগত বৈচিত্র্যকে (Genetic Variation) বোঝা য় , যা খাদ্য উৎপাদন, কৃষিকাজ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Describe the economic contribution of FAnGR ( FAnGR এর অর্থনৈতিক অবদান ) বাংলাদেশে FAnGR - এর অর্থনৈতিক অবদান প্রাণিজ প্রোটিন সরবরাহ কর্মসংস্থান, জীবিকা ও আ য় বৃদ্ধি কৃষি উৎপাদন ও যান্ত্রিক সাশ্রয় চামড়া ও পশম শিল্প মোট দেশজ উৎপাদনে ( GDP) অবদান রপ্তানি আয় ও শিল্প বিকাশ জলবায়ু সহনশীলতা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা জৈব সার ও জ্বালানি উৎপাদন
সংরক্ষণের মূলনীতি: ইন সিটু ও এক্স সিটু সংরক্ষণ ( In situ and Ex situ Conservation): ক. ইন সিটু ( In situ): গৃহপালিত প্রাণীকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও খামারে রেখে সংরক্ষণ (যেমন দেশি গরু/মুরগি খামারে পালন)। খ. এক্স সিটু ( Ex situ): জিন ব্যাংক বা ক্রায়োপ্রিজারভেশন ( Cryopreservation) এর মাধ্যমে জার্মপ্লাজম (যেমন - সিমেন, টিস্যু, ভ্রূণ, ডিএনএ) সংরক্ষণ করা। ২. বৈচিত্র্য রক্ষা ( Maintaining Diversity): বিভিন্ন জাতের গবাদি পশুর মধ্যে যে জিনগত বৈচিত্র্য আছে, তা সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ এই বৈচিত্র্যই প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে, নতুন রোগের সাথে লড়তে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। ৩. স্থানীয় জাতের অগ্রাধিকার ( Prioritizing Local Breeds): স্থানীয় জাতগুলি দেশের পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে টিকে থাকতে সক্ষম। তাই এদের সংরক্ষণ করা বিশেষভাবে জরুরি। State principles of conservation and utilization of FAnGR . ( বাংলাদেশের ফার্ম অ্যানিমেল জেনেটিক রিসোর্স এর সংরক্ষণের মূলনীতি এবং উপযোগিতা) বাংলাদেশের গবাদি প্রাণীর জেনেটিক রিসোর্স সংরক্ষণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশীয় গবাদি পশুর জাতগুলিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুরক্ষিত রাখতে পারি। নিচে এই সংরক্ষণের মূলনীতি ও ব্যবহার আলোচনা করা হলো:
৪. সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ( Community Participation): স্থানীয় পশুপালনকারী সম্প্রদায়কে এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করা উচিত। তাদের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত মূল্যবান। ৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ( Scientific Methods): আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি যেমন - মলিকুলার জেনেটিক্স, বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ এবং সংরক্ষণ করা উচিত। ৬. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ( Regular Monitoring): সংরক্ষিত জাতগুলির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন করা উচিত, যাতে তাদের স্বাস্থ্য, প্রজনন ক্ষমতা এবং জিনগত বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা যায়। State principles of conservation and utilization of FAnGR . ( বাংলাদেশের ফার্ম অ্যানিমেল জেনেটিক রিসোর্স এর সংরক্ষণের মূলনীতি এবং উপযোগিতা)
খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি ঃ দুধ, মাংস, ডিম ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের যোগান নিশ্চিত করে। পরিবেশ পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন ঃ দেশীয় প্রাণীর জাতগুলো স্থানীয় আবহাওয়া, রোগ-বালাই, খাদ্যসংকটের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। যেমন, দেশীয় ছাগল খরা বা কম খাবারেও বাঁচতে পারে। অর্থনৈতিক সুবিধা ঃ প্রাণী থেকে দুধ, মাংস, চামড়া, গোবর ইত্যাদি বিক্রি করে খামারির আয় হয়। উন্নত জাত ব্যবহার করলে উৎপাদন আরও বাড়ে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জীব বৈচিত্র্য ঃ অনেক প্রাণী শুধু অর্থনীতির জন্য নয়, সাংস্কৃতিক উৎসব ও ঐতিহ্যের অংশ (যেমন কোরবানির গরু)। বিভিন্ন জাত টিকে থাকলে জীব বৈচিত্র্যও রক্ষা পায়। গবাদি প্রাণীর জেনেটিক রিসোর্স এর উপযোগিতা বা ব্যবহার :
v. গবেষণা ও উন্ন য় ন : নতুন জাত উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজ্ঞানীরা এসব জেনেটিক রিসোর্স ব্যবহার করেন। vi. পরিবেশগত স্থায়িত্ব : গোবর দিয়ে জৈব সার ও বায়োগ্যাস তৈরি হয়, যা পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় জাত টিকিয়ে রাখা মানে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা । গবাদি প্রাণীর জেনেটিক রিসোর্স এর উপযোগিতা বা ব্যবহার :
জীববৈচিত্র্য হলো পৃথিবীর সব ধরনের জীবের বৈচিত্র্য—যেমন জিন, প্রজাতি ও বাস্তুতন্ত্র —এবং তাদের একে অপরের সাথে ও পরিবেশের সাথে সম্পর্ক। বৈচিত্র্য এর শ্রেণিবিভাগ জিনগত বৈচিত্র্য প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য Define Biodiversity.
Explain the importance of Biodiversity. ( জীববৈচিত্র্য এর গুরুত্ব ) জীববৈচিত্র্য আমাদের গ্রহ এবং মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অপরিহার্য। এর প্রধান গুরুত্বগুলো হলো: পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা 🌍: জীববৈচিত্র্য জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, পরাগায়ন, পানি পরিশোধন এবং মাটি উর্বর রাখতে সাহায্য করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি ছাড়া প্রাকৃতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অপরিহার্য সম্পদের উৎস 🍎💊: আমরা খাদ্য, ঔষধ, বস্ত্র, জ্বালানি এবং শিল্পের কাঁচামালের জন্য সম্পূর্ণভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্যের উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি 💰: কৃষি, মৎস্য, বনজ সম্পদ এবং পর্যটনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতগুলো সরাসরি জীববৈচিত্র্যের উপর নির্ভরশীল। এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকার উৎস। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ 🌊: সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যা, খরা ও রোগ-মহামারীর মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে এবং পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখে। সাংস্কৃতিক ও মানসিক প্রশান্তি 🧘: জীববৈচিত্র্য আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির অনুপ্রেরণা জোগায় এবং প্রকৃতি আমাদের মানসিক শান্তি ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Chapter V Traits of Economic Importance Concept and Written By MD. Akramul Haque BCS (Livestock)
Trait বা বৈশিষ্ট্য বৈশিষ্ট্য ( trait) হলো কোনো জীবের একটি নির্দিষ্ট, পর্যবেক্ষণযোগ্য গুণ বা চরিত্র যা পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং সাধারণত পিতা-মাতার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়। যেমন চোখের রঙ বা রক্তের গ্রুপ। গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য ( Traits of Farm Animals): গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য হলো প্রাণীর দৃশ্যমান ( phenotypic) অথবা অদৃশ্যমান ( genotypic) এমন সব চরিত্র , যা তার বৃদ্ধি, প্রজনন, উৎপাদনশীলতা, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং পরিবেশের সাথে অভিযোজন ক্ষমতা নির্ধারণ করে।
উদাহরণ উৎপাদন বৈশিষ্ট্য (Production traits): দুধ , মাংস , ডিম , ডিম পাড়ার হার , উল বা অন্যান্য পণ্যের উৎপাদনক্ষমতা। প্রজনন বৈশিষ্ট্য (Reproductive traits): উর্বরতা , বাছুর বা ছানার জন্মহার , বাচ্চা লালনপালন ক্ষমতা। শারীরবৃত্তী য় বৈশিষ্ট্য (Physiological traits): রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা , তাপ - সহনশীলতা , পরিবেশের সাথে অভিযোজন। অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য (Economic traits): খাদ্যকে প্রাণীজ প্রোটিনে রূপান্তরের দক্ষতা (feed efficiency), দ্রুত বৃদ্ধি ইত্যাদি।
১. খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা: প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের পুষ্টিহীনতা রোধ করে। ২. কৃষি অর্থনীতির চালিকাশক্তি: মোট কৃষি জিডিপিতে প্রাণীসম্পদের অবদান প্রায় ১৪.৬% ( FAO, ২০২৩)। ৩. দারিদ্র্য বিমোচন: গ্রামীণ নারী ও যুবকদের জন্য আয়-সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি করে। ৪. জৈব কৃষির সম্প্রসারণ: গোবর ও জৈব সারের ব্যবহার রাসায়নিক নির্ভরতা হ্রাস করে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদে ভূমিকা রাখে। ৫. শিল্প ও রপ্তানি আয়: চামড়া, ডিম ও মাংস রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন (বাংলাদেশ ব্যাংক, ২০২২)। ৬ . কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে : পশুপালন খাত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বিশাল কর্মসংস্থানের উৎস। ৭ . জিনগত উন্নয়ন ও টেকসই প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় : বৈশিষ্ট্যের সঠিক সনাক্তকরণ এবং ব্যবহার ভবিষ্যৎ প্রজনন কর্মসূচি ও জিনগত উন্নয়নে সহায়তা করে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের গুরুত্ব:
Mention different types of traits. বা বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য Types of Traits of Farm Animals Morphological traits ( আকৃতি/শারীরিক বৈশিষ্ট্য): প্রাণীর বাহ্যিক গঠন, আকার-আকৃতি বা রঙ সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ: কোটের রঙ, শিং/শিংবিহীন, দেহের উচ্চতা। Physiological traits ( শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য): প্রাণীর শারীরিক ক্রিয়া ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ: দুধ উৎপাদন ক্ষমতা, ডিম পাড়া, বাচ্চা উৎপাদন ক্ষমতা। Production traits ( উৎপাদন বৈশিষ্ট্য): প্রাণীর উৎপাদনশীলতার সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ: দুধের পরিমাণ, মাংসের পরিমাণ, ডিমের সংখ্যা, উল উৎপাদন। 4. Reproductive traits ( প্রজনন বৈশিষ্ট্য): প্রজনন ক্ষমতা ও প্রজনন দক্ষতার সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ: উর্বরতা ( fertility), বাচ্চা জন্মের বিরতি ( calving interval), হ্যাচেবিলিটি।
Mention different types of traits. বা বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য 5. Behavioral traits ( আচরণগত বৈশিষ্ট্য ): প্রাণীর স্বভাব বা আচরণের সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ : দুধ দোহানোর সময় শান্ত / আক্রমণাত্মক স্বভাব , সামাজিক আচরণ। 6. Disease resistance traits ( রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ): রোগ প্রতিরোধ বা সহনশীলতার সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য। উদাহরণ : Newcastle disease- এ প্রতিরোধী দেশি মুরগি , Trypanotolerant cattle । 7. Adaptive traits ( অভিযোজন বৈশিষ্ট্য ): পরিবেশগত অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা। উদাহরণ : তাপ সহনশীলতা , ঘাস হজম করার ক্ষমতা , স্থানীয় আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার দক্ষতা। 8. Fitness traits ( ফিটনেস বৈশিষ্ট্য): প্রাণীর survival, longevity এবং overall biological efficiency নির্ধারণ করে। উদাহরণ: বেঁচে থাকার হার ( survivability), আয়ুষ্কাল ( longevity), প্রজনন জীবনে সক্রিয় থাকার সময়কাল, adaptability + reproductive success।
প্যারামিটার গুণগত বৈশিষ্ট্য ( Qualitative Traits) পরিমাণগত বৈশিষ্ট্য ( Quantitative Traits) সংজ্ঞা এমন বৈশিষ্ট্য যা বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত (হয়/হয় না, বা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে প্রকাশিত)। এমন বৈশিষ্ট্য যা সংখ্যায় পরিমাপযোগ্য এবং ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণ - গরুর রঙ (লাল, সাদা, কালো) - শিংয়ের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি - মুরগির পালকের রঙ (সাদা, রঙিন) - দুধের পরিমাণ (লিটার/দিন) - দৈহিক ওজন বৃদ্ধি (কেজি/মাস) - ডিম উৎপাদন (সংখ্যা/বছর) জিনগত নিয়ন্ত্রণ সাধারণত ১ বা ২ জিন জোড়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ( Mendelian Inheritance)। অনেক জিন ( Polygenic) ও পরিবেশের সম্মিলিত প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত। পরিবেশের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম প্রভাব থাকে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , পরিবেশ (খাদ্য, পরিচর্যা, জলবায়ু) দ্বারা প্রভাবিত হয়। বংশাণুবিজ্ঞানীয় বিশ্লেষণ সহজে বিশ্লেষণযোগ্য (যেমন: Punnet Square ব্যবহার করে)। জটিল, পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি (হেরিট্যাবিলিটি, GWAS) প্রয়োজন। বৈচিত্র্যের ধরন বিযুক্ত ( Discrete) — স্পষ্ট বিভাজন (যেমন: হয় শিং আছে, নাই)। ধারাবাহিক ( Continuous) — ধীরে ধীরে পরিবর্তন (যেমন: ৫-২০ লিটার দুধ/দিন)। প্রজননে গুরুত্ব সহজে নির্বাচনযোগ্য (যেমন: নির্দিষ্ট রঙের প্রাণী বাছাই)। ধীরগতিতে উন্নয়ন সম্ভব (যেমন: দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বহু প্রজন্ম লাগে)। Differentiate between qualitative and quantitative traits.
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. বৈশিষ্ট্যের মান (Value of Traits) খামারের প্রাণীর ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যের মান বলতে কোনো নির্দিষ্ট গুণের অর্থনৈতিক গুরুত্বকে বোঝানো হ য়। উদাহরণ: একটি গাভীর জন্য বেশি দুধ দেওয়ার ক্ষমতা এবং একটি ব্রয়লার মুরগির জন্য দ্রুত বড় হওয়ার ক্ষমতাই হলো সবচেয়ে মূল্যবান বৈশিষ্ট্য।
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. বৈশিষ্ট্যের মান (Value of Traits) বিভিন্ন গবাদি পশুর বৈশিষ্ট্যের আদর্শ মান 1. দুধ উৎপাদনকারী পশু (যেমন: উন্নত সংকর জাতের গরু) 🐄 দুধ উৎপাদন ( Milk Yield): একটি ল্যাকটেশনে (৩০৫ দিনে) গড়ে ৫০০০ থেকে ৭০০০ লিটার । বাণিজ্যিক খামারে দৈনিক গড় ১৫-২৫ লিটার । দুধের ফ্যাট ( Fat Percentage): হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান সংকর জাতের ক্ষেত্রে ৩.৫% থেকে ৪.০% । দুধের প্রোটিন ( Protein Percentage): প্রায় ৩.২% থেকে ৩.৫% । বাছুর প্রদানের মধ্যবর্তী সময় ( Calving Interval): আদর্শ মান হলো ১২ থেকে ১৪ মাস (৩৬৫-৪২০ দিন)। প্রথম গর্ভধারণের বয়স ( Age at First Calving): ২৪ থেকে ৩০ মাস বয়সের মধ্যে।
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. 2. মাংস উৎপাদনকারী পশু (যেমন: গরু, ছাগল) দৈনিক দৈহিক বৃদ্ধির হার ( Average Daily Gain - ADG): গরু (উন্নত জাত): প্রতিদিন ৮০০ গ্রাম থেকে ১.২ কেজি । ছাগল (ব্ল্যাক বেঙ্গল): প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ গ্রাম । খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা ( Feed Conversion Ratio - FCR): গরু: প্রতি কেজি দৈহিক বৃদ্ধির জন্য ৬-৮ কেজি খাদ্য। ছাগল: প্রতি কেজি দৈহিক বৃদ্ধির জন্য ৫-৭ কেজি খাদ্য। ড্রেসিং শতাংশ ( Dressing Percentage): গরু: জীবন্ত ওজনের ৫৫% থেকে ৬০% । ছাগল: জীবন্ত ওজনের ৪৫% থেকে ৫০% ।
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. 3. পোল্ট্রি (বাণিজ্যিক জাত) 🐔 ডিমের জন্য ( Layer) ডিম উৎপাদন: মুরগি প্রতি বছরে (৭২ সপ্তাহ পর্যন্ত) ৩০০ থেকে ৩৩০টি ডিম। ডিমের গড় ওজন: ৫৮ থেকে ৬২ গ্রাম । FCR ( ডিমের জন্য): প্রতি কেজি ডিম উৎপাদনে ২.০ থেকে ২.২ কেজি খাদ্য। মৃত্যুহার ( Mortality): লেয়িং পিরিয়ডে ৫% এর কম। মাংসের জন্য ( Broiler) বাজারজাতকরণের বয়স ও ওজন: ৩০ থেকে ৩৫ দিন বয়সে ২.০ থেকে ২.৪ কেজি ওজন। FCR ( মাংসের জন্য): প্রতি কেজি জীবন্ত ওজনের জন্য ১.৬ থেকে ১.৮ কেজি খাদ্য। মৃত্যুহার ( Mortality): পুরো ফ্লকে ৪% এর কম।
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. বিভিন্ন প্রাণিতে বৈশিষ্ট্য বাছাই ( Selection of Traits in Different Livestock Species) বাছাইয়ের উদ্দেশ্য: উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ রক্ষা, অর্থনৈতিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। ১। দুগ্ধজাত গবাদি পশু দুধের ফলন : উচ্চ দুধ উৎপাদন (লিটার/ল্যাকটেশন) দুধের গুণমান : চর্বি, প্রোটিন %, SCC ( মাস্টাইটিস সূচক) উর্বরতা : কাভিং ইন্টারভ্যাল, কনসেপশন রেট জীবনকাল : দীর্ঘ উৎপাদনশীল জীবনকাল ওলান স্বাস্থ্য : গঠন, SCC, ম্যাস্টাইটিস প্রতিরোধ
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. ২। মাংসল গবাদি পশু বৃদ্ধির হার : উচ্চ গড় দৈনিক বৃদ্ধি ( ADG) ফিড দক্ষতা : কম FCR কারকাসের গুণমান : মার্বে লিং , কোমলতা, কারকাসের ওজন উর্বরতা : প্রথম বাছুর জন্মের বয়স, জন্মবিরতি স্বভাব : নমনীয় ও সহজ পরিচালনা যোগ্য
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. ৩। ছাগল দুধের ফলন ও গুণমান : চর্বি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ দুধ ’ বৃদ্ধির হার : দ্রুত বাজারের ওজন অর্জন প্রজনন কর্মক্ষমতা : কিড সংখ্যা, kidding interval পরজীবী প্রতিরোধ অভিযোজনক্ষমতা : তাপ/ঠান্ডা সহনশীলতা
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. ৪। ভেড়া উলের গুণমান ও পরিমাণ ঃ ফাইবার ব্যাস, দৈর্ঘ্য, ওজন বৃদ্ধির হার : দ্রুত ওজন বৃদ্ধি প্রজনন কর্মক্ষমতা : লিটার সাইজ, lambing interval পরজীবী প্রতিরোধ দুধ উৎপাদন : দুগ্ধ ভেড়ায় দুধের ফলন ও গুণমান
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. ৫। লেয়ার মুরগি ডিম উৎপাদন : বার্ষিক ডিম সংখ্যা ডিমের গুণমান : খোসা, আকার, কুসুম ও অ্যালবুমেন ফিড দক্ষতা : প্রতি ডজন ডিমের ফিড খরচ রোগ প্রতিরোধ : AI, Marek’s প্রতিরোধ আচরণ : ব্রুডিনেস কমানো, শান্ত স্বভাব
Discuss values of traits and its selection in different livestock species. ৬। ব্রয়লার মুরগি বৃদ্ধির হার : উচ্চ ADG ফিড দক্ষতা ( FCR) : কম FCR কারকাস কোয়ালিটি : বুকের মাংসের ফলন, মাংস-হাড় অনুপাত রোগ প্রতিরোধ : কক্সিডিওসিস, AI প্রতিরোধ কল্যাণ বৈশিষ্ট্য : পায়ের শক্তি, পালক
Chapter VI Principles of Selection Concept and Written By MD. Akramul Haque BCS (Livestock)
বাছাই বা নির্বাচন ( Selection ) হলো এমন একটি প্রক্রি য়া যেখানে প্রজনন লক্ষ্যের (Breeding objectives) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণীদের বেছে নেও য়া হ য় এবং তাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য (particular trait) বংশধরদের মধ্যে স্থানান্তর হয় । এ সম য় দুই ধরনের দিক দেখা হ য় — চোখে দেখে বোঝা যা য় এমন বৈশিষ্ট্য (যেমন দেহের গঠন, স্বাস্থ্য, রঙ ইত্যাদি) পরিমাপ বা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা বৈশিষ্ট্য (যেমন জেনেটিক মান, দুধের পরিমাণ, ডিম উৎপাদন ক্ষমতা ইত্যাদি)” বাছাই বা নির্বাচন ( Selection) কাকে বলে ?
Selection objectives বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য 🎯 Objectives of Selection ( বাছাইয়ের উদ্দেশ্য) উৎপাদন বৃদ্ধি করা ঃ যেমন: দুধ, মাংস, ডিম, উল ইত্যাদির পরিমাণ বাড়ানো। পণ্যের গুণগত মান উন্নত করা ঃ যেমন: দুধে ফ্যাট ও প্রোটিনের শতাংশ বাড়ানো, মাংসে কোমলতা বা স্বাদ উন্নত করা। অভ্যস্ততা ( Adaptability) বাড়ানো ঃ স্থানীয় আবহাওয়া, খাদ্য সংকট বা রোগবালাই সহ্য করতে পারা প্রাণী নির্বাচন করা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ঃ যাতে প্রাণী সহজে অসুস্থ না হয় এবং ওষুধের খরচ কমে। প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করা ঃ যেমন: বেশি বাচ্চা দেওয়া, কম বয়সে প্রজননে সক্ষম হওয়া। অর্থনৈতিক লাভ বৃদ্ধি করা ঃ ভালো বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন প্রাণী রাখলে খামারের খরচ কমে এবং আয় বাড়ে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা ঃ যাতে পরবর্তী প্রজন্মে আরও উন্নত জাত পাওয়া যায়।
Selection criteria বা নির্বাচনের মানদন্ড 🐄 Selection Criteria ১। বাছাইয়ের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। ২। যথাসাধ্য নিখুঁতভাবে পরিমাপযোগ্য হতে হবে। ৩ । এটি প্রাণির জীবনকালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিমাপ করতে হবে। ৪। মানদন্ড কে সাশ্রয়ভাবে পরিমাপ ও নথিভুক্ত করতে হবে। ৫। বৈশিষ্ট্যটি বংশধরদের মধ্যে ভালোভাবে স্থানান্তরিত হয়। ৬। মূলত জেনেটিক কারণে পরিবর্তিত হ য় , পরিবেশের প্রভাবে কম থাকবে । ৭। এ ক বৈশিষ্ট্যের (trait) জন্য নির্বাচন যেন অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের অবনতি না ঘটায়।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) বাছাই পদ্ধতি প্রধানত তিন প্রকার ট্যানডেম পদ্ধতি অবাধ ছাটাই পদ্ধতি বাছাই সূচক পদ্ধতি
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) ✦ ট্যানডেম পদ্ধতি ( Tandem Method) সংজ্ঞা একাধিক বৈশিষ্ট্যের উন্নয়নের জন্য একক বৈশিষ্ট্য বাছাই করে পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন করা। একটি বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সেই বৈশিষ্ট্য নিয়েই বাছাই চলতে থাকে। উন্নতি হলে পরবর্তী বৈশিষ্ট্যের জন্য বাছাই শুরু হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি আগে নির্বাচন করা হয়। উদাহরণ: গাভীতে → (১) দুধ উৎপাদন → (২) উর্বরতা → (৩) দুধে মোট কঠিন পদার্থ।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) সুবিধা ( Advantages) বাছাইকৃত বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে যদি কৌলিক অনুবন্ধ ( genetic correlation) থাকে, তবে বেশি কার্যকর। এক বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন হলে অন্য বৈশিষ্ট্যেরও উন্নয়ন ঘটে। যেসব দলে একক বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন করা হয়, সেখানে উপযোগী। নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনুযায়ী একক বৈশিষ্ট্য উন্নয়ন সম্ভব।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) অসুবিধা ( Disadvantages) তুলনামূলকভাবে কম দক্ষ পদ্ধতি । উন্নয়নে বেশি সময় ও অর্থ প্রয়োজন। দু’টি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নেগেটিভ কৌলিক অনুবন্ধ থাকলে, এক বৈশিষ্ট্যের উন্নয়নে অন্য বৈশিষ্ট্যের অবনতি ঘটে। সব বৈশিষ্ট্যের একসাথে উন্নয়ন করা যায় না , ফলে সমগ্র উৎপাদনশীলতা (overall productivity) বাড়তে দেরি হয়। যদি শুরুতে নির্বাচিত বৈশিষ্ট্যটি ভুলভাবে নির্ধারণ করা হয় , তবে পরবর্তী বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন ব্যাহত হয়।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) ✦ অবাধ ছাঁটাই পদ্ধতি ( Independent Culling Method) সংজ্ঞা একই সময়ে একাধিক বৈশিষ্ট্যের জন্য বাছাই করা হয়। প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের জন্য ন্যূনতম মান ধার্য থাকে। কোনো পশু যদি একটি বৈশিষ্ট্যেও ন্যূনতম মান পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে প্রজননের জন্য বাদ দেওয়া হয়।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) ধরা যাক আমরা তিনটি বৈশিষ্ট্যের জন্য গাভী বাছাই করবো – দুধ উৎপাদন (ন্যূনতম ১.৮ লিটার/দিন) দুধ ছাড়াকালীন সময়ে ওজন (ন্যূনতম ৬৫ কেজি) প্রথম প্রসবকালীন বয়স (ন্যূনতম ৫৩ মাস) গাভী নং দুধ উৎপাদন (লিটার/দিন) ওজন (কেজি) প্রথম প্রসবকালীন বয়স (মাস) ১ নং গাভী ২.০ ✅ ৬০.২ ❌ ৫০ ❌ ২ নং গাভী ২.২ ✅ ৬৮.৫ ✅ ৫৮ ✅ ৩ নং গাভী ১.৯ ✅ ৬৭.০ ✅ ৫৩ ✅
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) সুবিধা ( Advantages) প্রদর্শনীর জন্য উপযোগী, কারণ পশুকে সব বৈশিষ্ট্যে উৎকৃষ্ট হতে হয়। একই সময়ে অনেক বৈশিষ্ট্যের জন্য বাছাই সম্ভব। অল্প বয়সেই অযোগ্য পশু বাদ দেওয়া যায় → খরচ কম হয়। অসুবিধা ( Disadvantages): কোনো প্রাণী একটি বৈশিষ্ট্যে উৎকৃষ্ট হলেও, অন্য বৈশিষ্ট্যে ন্যূনতম মানে না পৌঁছালে তাকে বাদ দিতে হয়। উৎকৃষ্ট জিনসম্পন্ন প্রাণী নষ্ট হয়ে যায়, ফলে সম্ভাব্য উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। বৈশিষ্ট্যের গুরুত্ব ভিন্ন হলেও সবগুলোর জন্য সমান ন্যূনতম মান ধার্য করা হয়, যা সবসময় যৌক্তিক নয়। কোনো বৈশিষ্ট্যে সামান্য ঘাটতি থাকলেও পুরো প্রাণীকে বাদ দিতে হয়।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) ✦ বাছাই সূচক পদ্ধতি ( Selection Index Method) সংজ্ঞা সবচেয়ে কার্যকরী ও জটিল বাছাই পদ্ধতি। প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের ন্যূনতম মান নির্ধারণ করা হয়। প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের ন্যূনতম মানকে তার আপেক্ষিক অর্থনৈতিক মান দিয়ে গুণ করা হয়। সব মান যোগ করে সূচক মান ( Index value, I) নির্ণয় করা হয়। যে প্রাণীর সূচক মান সবচেয়ে বেশি → তাকে বাছাই করা হয়। গরুর চেয়ে ভেড়া ও শূকর -এর ক্ষেত্রে বেশি কার্যকর।
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) সূচক নির্ণয়ের সূত্র I=x 1 b 1 +x 2 b 2 +x 3 b 3 +⋯+ x n b n যেখানে, x= বৈশিষ্ট্যের মান b= বৈশিষ্ট্যের আপেক্ষিক অর্থনৈতিক মান
বাছাই পদ্ধতি (Methods of Selection) সুবিধা ( Advantages): সবচেয়ে দক্ষ পদ্ধতি। সময় কম লাগে। একসঙ্গে দুই বা ততোধিক বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন করা যায়। মোট স্কোর ( Index value)- এর ভিত্তিতে পশু ছাঁটাই করা যায়। সঠিকভাবে ইনডেক্স তৈরি হলে কম সময় ও প্রচেষ্টায় সর্বাধিক কৌলিক উন্নয়ন ( genetic gain) সম্ভব। অসুবিধা ( Disadvantages): জটিল পদ্ধতি। একসাথে অনেক বৈশিষ্ট্যের জন্য বাছাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। কার্যকারিতা পুরোপুরি নির্ভর করে সঠিক ইনডেক্স তৈরির উপর। ইনডেক্স তৈরির জন্য প্রজনন বিষয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ বা ছা ই সাহায্যকারী ( Aids to Selection) সংজ্ঞা পশু প্রজননের জন্য বাছাই করতে যেসব উপাদান সহায়তা করে, সেগুলোকে বাছাই সাহায্যকারী বলা হয়। প্রধান উপাদানসমূহ সাতন্ত্র্যতা বা বাহ্যিক নমুনা / সরল ফেনোটাইপিক বাছাই প্রাণীর বাহ্যিক গঠন বা চেহারা দেখে বাছাই করা। সারাজীবনের উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে বাছাই প্রাণীর সারাজীবনের মোট উৎপাদন রেকর্ড দেখে বাছাই করা। বংশবিবরণের ভিত্তিতে বাছাই ( Pedigree selection) প্রাণীর পূর্বপুরুষের গুণাবলি ও উৎপাদন ক্ষমতা দেখে বাছাই করা। পরিবার ভিত্তিতে বাছাই ( Family selection) একই পরিবারের সদস্যদের বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে বাছাই করা। সন্তান পরীক্ষার ভিত্তিতে বাছাই ( Progeny testing) প্রাণীর সন্তানের উৎপাদন ও বৈশিষ্ট্য দেখে প্রজননের জন্য প্রাণী নির্বাচন করা।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ সাতন্ত্র্যতা বা বাহ্যিক নমুনা বাছাই ( Individual/Mass/Simple Phenotypic Selection) সংজ্ঞা: যে নির্বাচন পদ্ধতিতে কোনো প্রাণীর তার নিজস্ব দৃশ্যমান বা পরিমাপযোগ্য বৈশিষ্ট্যের (ফিনোটাইপ) ভিত্তিতে প্রজননের জন্য বাছাই বা বর্জন করা হয়, তাকে সাতন্ত্র্যতা বাছাই বলে। উদাহরণ: কোনো খামারে ৫০০ গাভীর মধ্যে দুধ উৎপাদনের রেকর্ড দেখে সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী গাভী বাছাই করা।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ সারাজীবনের উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে বাছাই ( Lifetime Performance Records) সংজ্ঞা: যে নির্বাচন পদ্ধতিতে একটি প্রাণী তার জীবনকালে (প্রথম প্রসব/উৎপাদন থেকে শুরু করে) বিভিন্ন উৎপাদনমূলক বৈশিষ্ট্যের (যেমন: দুধের yield, বাচ্চা উৎপাদন সংখ্যা, জীবনকালীন লাভ) সঞ্চিত ও নথিভুক্ত রেকর্ডের ভিত্তিতে প্রজননের জন্য বাছাই করা হয়, তাকে সারাজীবনের উৎপাদন ক্ষমতার ভিত্তিতে বাছাই বলে। (in short: প্রাণীর উৎপাদন দক্ষতার ধারাবাহিকতা অনুযায়ী প্রজননের জন্য বাছাই করা। ) মূল দিকসমূহ: উৎপাদন তথ্য ব্যবহার করে ভবিষ্যত ক্ষমতা অনুমান করা যায়। পরিবেশগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও উৎকৃষ্ট কৌলিক গুণের প্রাণীর গড় উৎপাদন মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে। উদাহরণ: গাভীর জীবনকালে প্রতি ল্যাকটেশন পিরিয়ডে দুধ উৎপাদন দেখে বাছাই করা। কৌলিবিজ্ঞানে এটিকে রিপিটেবিলিটি ( Repeatability) বলা হয় – জীবনকালে বৈশিষ্ট্যের পুনরাবৃত্তি।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ বংশবিবরণের ভিত্তিতে বাছাই ( Pedigree Selection) সংজ্ঞা: যে নির্বাচন পদ্ধতিতে কোনো প্রাণীর নিজস্ব performance রেকর্ড না থাকা অবস্থা য় , তার বংশবিবরণী ( Pedigree)- এ উল্লিখিত পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী ইত্যাদি পূর্বপুরুষদের performance ও গুণাবলীর ভিত্তিতে তার জিনগত মুল্য ( Genetic Merit) অনুমান করা হয় এবং প্রজননের জন্য বাছাই করা হয়, তাকে বংশবিবরণীর ভিত্তিতে বাছাই বলে। (in short: পশুর পিতা-মাতা বা পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য দেখে প্রজননের জন্য বাছাই করা। ) মূল দিকসমূহ: পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলে বাছাইতে সহায়ক। শৈশবেই বাছাই করা সম্ভব, যখন বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। কিছু বৈশিষ্ট্য এক লিঙ্গে প্রকাশিত হলে , অন্য লিঙ্গের পূর্বপুরুষ দেখে অনুমান করা যায়। পূর্বপুরুষের বৈশিষ্ট্য জানা থাকলে, কোন বৈশিষ্ট্য প্রাণীতে প্রকাশ পাবে তার সম্ভাবনা অনুমান করা যায়।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection উদাহরণ: ধর একটি খামারে এক শৈশবের বাছুর আছে, যার পিতা ১০ লিটার/দিন দুধ উৎপাদনকারী এবং মাতা ৯.৫ লিটার/দিন উৎপাদনকারী । বাছুরের নিজস্ব উৎপাদন তথ্য এখন নেই, কিন্তু পিতামাতার তথ্য দেখে অনুমান করা যায় যে বাছুরটির দুধ উৎপাদন বেশি হবে । তাই এই বাছুরকে প্রজননের জন্য নির্বাচনযোগ্য ধরা যেতে পারে।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ পরিবার ভিত্তিতে বাছাই ( Family Selection) সংজ্ঞা: যে নির্বাচন পদ্ধতিতে একটি প্রাণীকে তার পরিবারের (যমজ, ভাই-বোন, হাফ -সি ব ইত্যাদি) গড় performance বা গুণাবলীর ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও প্রজননের জন্য বাছাই করা হ য় , তাকে পরিবার ভিত্তিতে বাছাই বলে। (in short: পরিবারের তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রজননের জন্য বাছাই করা হয়। ) প্রধানত পোল্ট্রির প্রজননে ব্যবহৃত হয়। পরিবারের ধরন: পিতার পরিবার ( Sire family): একটি পিতার সাথে বিভিন্ন মাতার মিলনে উৎপন্ন বাচ্চা। মাতার পরিবার ( Dam family): একটি মাতার সাথে বিভিন্ন পিতার মিলনে উৎপন্ন বাচ্চা। পিতা ও মাতার পরিবার ( Sire and Dam family): একটি পিতা ও একটি মাতার মিলনে উৎপন্ন বাচ্চা।
বাছাই সাহায্যকারী ( Aids to Selection ✦ সন্তান পরীক্ষার ভিত্তিতে বাছাই ( Progeny Testing) সংজ্ঞা: প্রজেনি টেস্টিং হলো একটি পদ্ধতি যেখানে পিতা-মাতার (বিশেষ করে পিতার) জিনগত গুণাবলি বা মান নির্ধারণ করা হয় তার সন্তানদের (প্রজেনি) বৈশিষ্ট্য বা কর্ম (Performance) বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে। সুপিরিয়র প্রাণী নির্ণয় করে ভবিষ্যত প্রজননের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মূল দিকসমূহ: শুধুমাত্র এক লিঙ্গে প্রকাশ পায় এমন বৈশিষ্ট্যের জন্য উপকারী। উদাহরণ: ডিম উৎপাদন, দুধ উৎপাদন (পুরুষ প্রাণী উৎপাদন করে না, কিন্তু জিন বহন করে)। যে বৈশিষ্ট্য সরাসরি পরিমাপ করা যায় না তার জন্য কার্যকর। উদাহরণ: মাংসের গুণাগুণ । দুর্বল বা অজানা বংশগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: একটি গাভীর কন্যা সন্তানের দুধ উৎপাদন রেকর্ড পরীক্ষা করে বাবা গরুর প্রজনন মান নির্ধারণ করা। যে বাবা গাভীর সন্তানদের উৎপাদন সর্বোচ্চ, তাকে প্রজননের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।