হেনরি লুইস মরগান তার ‘Ancient society’ গ্রন্থে বলেন, “সভ্যতা,বিবর্তন নামক সিঁড়িটির একটি শিশু । যে সমাজে লেখ্য ভাষা ও বর্ণন�...
হেনরি লুইস মরগান তার ‘Ancient society’ গ্রন্থে বলেন, “সভ্যতা,বিবর্তন নামক সিঁড়িটির একটি শিশু । যে সমাজে লেখ্য ভাষা ও বর্ণনা আছে ,ধাতুর তৈরি ব্যবহার ও লিখিত দলিল এর ব্যবহার আছে সে সমাজেই সভ্য।”
R.M Maclver & Page বলেন,“Our civilization is that we use.”অর্থাৎ আমরা যে সব উপকরন ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করি সেসব একযোগে হলো আমাদের সভ্যতা ।
Size: 10.62 MB
Language: none
Added: Oct 19, 2020
Slides: 42 pages
Slide Content
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আজকের উপস্থাপনার বিষয়: সিন্ধু সভ্যতা
পরিপূর্ণরূপে বাহ্যিক ও মানসিক অবস্থার পূর্ণতা প্রাপ্তিকেই সভ্যতা বলে। অর্থাৎ সংস্কৃতির একটি সমৃদ্ধ অবস্থাকে ব্যবহার করে আমরা যখন সভ্য,তখন সেই অবস্থাকে সভ্যতা বলা যায়। সভ্যতা বলতে আমরা কি বুঝি? হেনরি লুইস মরগান তার ‘Ancient society’ গ্রন্থে বলেন, “সভ্যতা , বিবর্তন নামক সিঁড়িটির একটি শিশু । যে সমাজে লেখ্য ভাষা ও বর্ণনা আছে ,ধাতুর তৈরি ব্যবহার ও লিখিত দলিল এর ব্যবহার আছে সে সমাজেই সভ্য। ” R.M Maclver & Page বলেন,“Our civilization is that we use.”অর্থাৎ আমরা যে সব উপকরন ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করি সেসব একযোগে হলো আমাদের সভ্যতা ।
বিশ্বের তিন প্রাচীন সভ্য তাঃ o মেসোপটেমিয়া সভ্যতা o মিশরীয় সভ্যতা o সিন্ধু সভ্যতা
“ আমরা এখন INDUS VALLEY CIVILIZATION বা সিন্ধু সভ্যতা সম্পর্কে জানব ”
সিন্ধু সভ্যতা (Indus Valley Civilization)
পরিচিতি: সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ হয় খ্রিস্টপূর্ব ২৪০০-২৩০০ অব্দে এবং গুজরাটে ১৪০০-১৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত বিকাশ ঘটে। সিন্ধু নদের অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল বলে এ সভ্যতা কে সিন্ধু সভ্যতা বলা হয় । ৫০০০ বছরের পুরাতন সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা কে সাধারণভাবে হরপ্পার সংস্কৃতি বলা হয়ে থাকে।সিন্ধু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল পাঞ্জাবের হরপ্পা এবং সিন্ধুর মহেঞ্জোদারো । এই সিন্ধু সভ্যতার ব্যাপ্তিকাল ছিল ৪০০০-১০০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত।
স্যার জন মার্শাল আবিষ্কার ও গবেষণা : স্যার জন মার্শাল পাঞ্জা বে র হরপ্পাতে খনন শুরু করেন । এর ফলে এখানে একটি প্রাচীন ও সুসমৃদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। এখানে প্রাপ্ত সিলমোহরের সঙ্গে মহেঞ্জোদারো বৌদ্ধ স্তুপ খননের ফলে আবিষ্কৃত সিলমোহরের সাদৃশ্য দেখে মার্শাল মনে করেন যে এ দুটি প্রাচীন স্থানে একটি সুসমৃদ্ধশালী সভ্যতা গড়ে ওঠে।সিন্ধু নদীর অববাহিকায় এক হাজার মাইল এলাকার বহু স্থানে খননের ফলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে।
প্রাক হরপ্পা পর্যা য়ের বৈশিষ্ট্য (৩৩০০-২৮০০ খ্রিস্টপূর্ব ) এ ই স্বতন্ত্র পর্যায় আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে আবির্ভূত হয় । বাণিজ্য নেটওয়ার্কগুলি এই সংস্কৃতিটিকে সম্পর্কিত করে আঞ্চলিক সংস্কৃতির সাথে এবং কাঁচামালের দূরবর্তী উৎস গুলির সাথে যুক্ত করে। গৃহপালিত ফসলগুলির মধ্যে মটর, তিল বীজ, খেজুর এবং তুলা অন্তর্ভুক্ত। গৃহপালিত পশু ব্যবহৃত হতো, যেমন জল মহিষ। বিল্ডিং জন্য মসৃণ ইট,ব্যবহার করা হতো।
মধ্য হরপ্পান যুগের বৈশিষ্ট্য - একীভূতকরণ যুগ (২৬০০-১৯০০ খ্রিস্টপূর্ব ) ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, সম্প্রদায়গুলো নগরায়ন বা শহুরে কেন্দ্রগুলোতে পরিণত হয়েছে ৬ ধরনের শহুরে কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছিল যার মধ্যে রয়েছে:পাকিস্তানের হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো এবং ডিকি, ভারতের গনোরেলা, দকিলিংগামএবং ম্যাঙ্গালোর। সামগ্রিকভাবে, ঘোড়গড়-ফ্লোরেন্স নদী এবং তার উপনদীর সাধারণ অঞ্চলে প্রায় ১০২৫ টিরও বেশি শহর ও বসতি পাওয়া গেছে। সেচ পদ্ধতি, ফসল উৎপাদন এবং কাদা ইট কাঠামো বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হতো।
হরপ্পান পরবর্তী সময়কাল১৭০০-১৩০০ খ্রিস্টপূর্ব মানুষের সমবেদনা বিদ্যমান ছিল।হাড়গুলি আঁকা মৃৎপাত্রের কবরস্থানে আবদ্ধ ছিল। এটি সিন্ধু সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন যেখানে কাঠের কফিনে লাশ দাফন করা হত। পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন পৃষ্ঠ চিকিৎসার সঙ্গে সূর্য বা তারকারাজি, ময়ুর ইত্যাদি বসতির সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া শুরু হতে থাকে। চাল প্রধান ফসলে পরিণত হয়ে ওঠে। সিন্ধু সভ্যতার বিস্তৃত ব্যবসায়ের মতো , সামুদ্রিক শেলের মতো মাতৃত্বগুলি আর ব্যবহৃত হয় না। Buiiding জন্য কাদা ইট ব্যবহার অবিরত।
মহেঞ্জোদারের ধ্বংসাবশেষ:
হরপ্পার ধ্বংসাবশেষ:
সিন্ধু সভ্যতার ভৌগোলিক অবস্থা: সিন্ধু সভ্যতা ইরান থেকে আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এছাড়াও তুর্কমেনিস্তান এবং গুজরাট রাজ্য (ভারত) তে সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত ছোট ও বিচ্ছিন্ন উপনিবেশ পাওয়া যায়। এটি ইন্দু নদীর তীরে সমৃদ্ধ ছিল এবং এর কিছুটা ভারতের ঘগগার-হাকরা নদীতে ছিল।
পিক
এখন আমরা সিন্ধু সভ্যতার সামাজিক , সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করব ।
হরপ্পার প্রবেশদ্বার
ভাষা ◑চিত্রগ্রাহক লিপি ব্যবহা র করা হত। ◑নমুনা পাথর, খোদিত পোড়ামাটির পাত্রে, মৃৎশিল্পের খন্ডে এবং কয়েকটি উঁচু বস্তুগুলির মধ্যে আটকে থাকা স্ট্যাম্প সীলগুলিতে লিপির নিদর্শন পাওয়া যায়। ◑সীল এবং প্রশান্ত মহাসাগরগুলি প্রায়শই আইকনোগ্রাফিক মোটিফ, বেশিরভাগ বাস্তবসম্মত ছবিগুলি দৃশ্যত পবিত্র হিসাবে পূজা করা হয় এবং এন্ট্রোপ্রোমার্ফিক দেবতা এবং উপাসকদের দৃশ্যের পরিচয় পাওয়া যায ◑এসবের মধ্যে সিন্ধু সভ্যতার ভাষার খোঁজ মি লে
স্থাপত্য কলা সুপরিকল্পিত নগর নির্মাণ উন্নত পয়োঃপ্রণালী নির্মাণ ইটের ইমারত নির্মাণ ঘরের সমান্তরাল ছাদ দুর্গ ও দ্বিতল গৃহ কূপ খনন রক্ষণাবেক্ষণ সংযুক্ত শৌচাগার প্রশস্ত রাস্তাঘাট শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান শস্যাগার নির্মাণ পরিচালনার জন্য পৌরসভা গঠন
সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সমাজ গড়ে ওঠে পরিবারের ভিত্তিতে কুঠুরি সংবলিত গৃহে বসবাস উঠানো উনানের ব্যবস্থা ছিল সন্তোষজনক অর্থনীতি অবস্থা শস্য রাখার জন্য বিশাল আকার শস্যাগার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির ব্যবস্থা সারা বছরের শস্য মজুদ রাখা হতো
পোশাক-পরিচ্ছেদ হরপ্পার মূর্তি দেখে হরপ্পার মানুষের পোশাক-পরিচ্ছেদ সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা করা যায় না তবে পুরুষের আর ঢিলেঢালা পোশাক পড়তো পুরুষেরও মেয়েদের মতো লম্বা চুল রাখত পুরুষের অলংকার ব্যবহার করত
আচার অনুষ্ঠান পুরোহিতের প্রাধান্য পরিবারে পূজার রীতি ছিল দেব দেবীর পূজা করা হত ব্রাহ্মণ সমাজ হরপ্পায় দেবী মাতৃকার পূজা করা হত
ব্যবসা বাণিজ্য অভ্যন্তরীণ নদী পথ◑সমুদ্র ও স্থলপথে ব্যবসা-বাণিজ্য সুমেরীয় সভ্যতার সাথে মিল দেখা যায় শিল্প নগরী ও বাণিজ্যের প্রসার চন্নোদারে একটি শিল্প নগরী ও বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল
শিল্পকলা দু ধরনের ইট এর ব্যবহার ছিল আগুনে পোড়া ও রোদে পোড়া কোন মন্দির আবিষ্কৃত হত না পাথরে খোদিত পুরোহিতের ভাস্কর্য তৈরি করা হতো চুনাপাথর স্টিয়েটাইট অথবা স্ফটিক পাথরের ব্যবহার ছিল এছাড়াও মূল্যবান পাথর ব্যবহার করা হতো
শিল্প ও সংস্কৃতি
অলংকারাদি
নেকলেস
কারুকার্য সজ্জিত ফুলদানি
কুয়া
প য়ঃ নি ষ্কাশন ব্যবস্থা
সীলমোহর
বিনোদন
সভাকক্ষ
ব্যবহৃত পাত্র
সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন জলবায়ুর পরিবর্তন সিন্ধু নদীর প্লাবন সিন্ধু নদীর শাখা নদী গুলির গতি পরিবর্তন কেন্দ্রীয় শাসনের শিথিলতা অস্ত্রশস্ত্রের অপর্যাপ্ততা বৈদেশিক আক্রমণ